সুনামগঞ্জে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
সুনামগঞ্জে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

প্রতীকী ছবি

সুনামগঞ্জে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে স্ত্রীকে যৌতুকের দাবিতে মারপিট করে হত্যার দায়ে স্বামী মো. রাসেল মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জাকির হোসেন এ রায় দেন।

স্বামী মো. রাসেল মিয়া জামালগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের সফিক মিয়ার ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের রেছনা বেগমের মেয়ে মহনমালা বেগমের বিয়ে হয় মো. রাসেল মিয়ার সঙ্গে।

বিয়ের পরে আসামি মো. রাসেল মিয়া মহনমালাকে আসামির বাড়িতে নিয়ে ঘর সংসার করতে থাকেন। প্রায়ই আসামি মো. রাসেল মিয়া স্ত্রীর নিকট যৌতুক দাবি করে তাকে নির্যাতন শুরু করে। এ নিয়ে স্ত্রী আদালতে একটি মামলাও দায়ের করেন।  

মামলা দায়েরের পর আসামি মো. রাসেল মিয়া আর যৌতুক দাবি করবে না ও নির্যাতন করবে না মর্মে অঙ্গীকার করে স্ত্রীকে আসামির বাড়িতে নিয়ে যায়।

কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই স্বামী যৌতুক দাবি করে আবারও নির্যাতন শুরু করে। গত ২০১৮ সালের ২৮ জুন ভিকটিম মহনমালাকে স্বামীর ঘর থেকে মৃত উদ্ধার করা হয়।  

এ সময় ভিকটিমের গলায় ও ঠোঁটে জখমের চিহ্ন দেখতে ছিল এবং নাক দিয়ে রক্ত ও মুখ দিয়ে ফেনা বের হতে থাকে। পরে তার আত্মীয় স্বজন খবর পেয়ে আসামির বাড়িতে গেলে তারা পালিয়ে যান। তারা মহনমালার লাশ দেখতে পান। পরে মহনমালার মা বাদী হয়ে জামালগঞ্জ থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

মামলার দীর্ঘ বিচারকার্য শেষে স্বামী রাসেল মিয়ার বিরুদ্ধে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন।

এদিকে, বিশ্বম্ভপুর উপজেলায় এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে পৃথক আরেকটি মামলায় আসামি খলিল আহমেদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জাকির হোসেন।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর নান্টু রায়।

news24bd.tv/কেআই