সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে: তথ্যমন্ত্রী
সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে: তথ্যমন্ত্রী

সংগৃহীত ছবি

সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে: তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, স্বাধীনতার নামে যদি আমরা কেউ অপসাংবাদিকতা করি তাহলে দেশের আপামর জনগণ এবং সাংবাদিক সমাজ নিশ্চয় সেটিকে সমর্থন করে না। সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে সাংবাদিকতার নামে রাজনীতি করা সেটি যে সমীচীন নয় সেটিও নিশ্চয়ই আপনারা আমার সঙ্গে একমত হবেন।

আজ শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজী পুকুর পাড়ের নিজ বাসায় সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।  

তথ্যমন্ত্রী বলেন, অব্যাহতভাবে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, দারিদ্র্য কমছে, দেশের সমৃদ্ধির সঙ্গে প্রতিটি মানুষের সমৃদ্ধি এবং সচ্ছলতা আসছে।

বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশের এই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অনেকের পছন্দ হয় না। সে জন্য দেখা যায়, কিছু কিছু পত্রিকায় উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে নেগেটিভ রিপোর্ট করা হয়। বিদেশ থেকে চিহ্নিত ব্যক্তি বিশেষ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু এতে বাংলাদেশকে দমিয়ে রাখা যায়নি।

তিনি বলেন, আমাদের সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে। আমরা মনে করি, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সঙ্গে রাষ্ট্রের বিকাশ, গণতন্ত্রের বিকাশ জড়িত, গণতান্ত্রিক রীতিনীতি চর্চার আমাদের যে সংস্কৃতি সেটিকে আরও গভীরে প্রোথিত করা নির্ভর করে। কিন্তু একই সঙ্গে আমাদের সম্মিলিত দায়িত্বশীলতাও আছে।

প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানের গ্রেপ্তার বিষয়ে আমেরিকাসহ ১২টি দেশ বিবৃতির বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ১২টি দেশের দূতাবাসের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি তাঁদের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। ভারতের দিকে তাকানোর অনুরোধ করে তিনি বলেন, সেখানে কয়েক দিন ধরে বিবিসির কার্যালয়ে তল্লাশি করা হয়েছে, সেখানে কী বিভিন্ন দেশ এ ধরনের উদ্বেগ প্রকাশ, বিবৃতি দিয়েছে? দেওয়া হয়নি। কারণ ভারত বড় দেশ, ভারতের শক্তি–সামর্থ্য বেশি, সে জন্য সেখানে সেই সাহস দেখাতে পারেনি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কূটনীতিকদের সহায়তা কামনার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরাতো প্রথম থেকেই বলে আসছি তাঁরা জনগণের কাছে যায় না, তাঁরা বিদেশি কূটনীতিকদের ধারে ধারে গিয়ে পদলেহন করে। আমি আশা করেছিলাম, তাঁরা দুস্থ মানুষের সঙ্গে ইফতার করবে, সেটি না করে ফাইভ স্টার হোটেলে বসে কূটনীতিকদের সঙ্গে ইফতার করেছে। সেখানে গিয়ে আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের জন্য অনুনয়-বিনয় করেছে।

তিনি বলেন, কূটনীতিকদের আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানো সমীচীন নয়। প্রয়োজনে কূটনীতিকদের আচরণ সম্পর্কিত ভিয়েনা কনভেনশন তাঁদের স্মরণ করিয়ে দেওয়া হবে। আসলে দোষটা কূটনীতিকদের চেয়েও আমাদের অনেকের অনেক বেশি। কারণ আমরা গিয়ে তাঁদের হাতে–পায়ে ধরি একটু কিছু বলার জন্য। এটি আসলে দেশ বিরোধী এবং দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের শামিল।

সাংবাদিকদের স্মরণ করিয়ে দিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আপনাদের মনে আছে যখন বিশ্বব্যাংক পদ্মাসেতুতে অর্থায়ন করবে না বলে ঘোষণা দিয়েছিল, তখন কিছু বড় পত্রিকায় ব্যানার হেডিং দিয়েছিল ‘পদ্মাসেতু আর হচ্ছে না’। কিন্তু বাংলাদেশে পদ্মাসেতু হয়েছে নিজেদের টাকায়। ’ এগুলোর ব্যাপারে সাংবাদিক বন্ধুদের সতর্ক থাকার অনুরোধ জানান তিনি।  

এ সময় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও চসিকের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, দক্ষিণ জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

news24bd.tv/আলী

এই রকম আরও টপিক