সুন্দরী তরুণীদের ধর্ষণ ও হত্যা করাই তার কাজ

প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ।

সুন্দরী তরুণীদের ধর্ষণ ও হত্যা করাই তার কাজ

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

প্রেমের অভিনয় করে তরুণীদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়া ও হত্যা করাই তার কাজ। ইতোমধ্যে করেছে চারটি বিয়ে। এরপরও অপকর্ম থামেনি তার।

এবার রুমি আক্তার (১৬) নামে টাঙ্গাইলের এক কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে সিলেটের বিশ্বনাথে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করে শফিক মিয়া।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার শফিক মিয়াকে টাঙ্গাইল থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার শফিক বিশ্বনাথের রামচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা। কিশোরী রুমি আক্তারকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে শফিক।

বুধবার দুপুরে নগরের বন্দরবাজারস্থ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানিয়েছেন সিলেটের পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান।

পুলিশ সুপার বলেন, গত ১০ সেপ্টেম্বর বিশ্বনাথের রামপাশা ইউনিয়নের একটি বাড়ির পাশ থেকে অজ্ঞাত এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর তার মোবাইল ফোন নম্বরের সূত্র ধরে এ হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হয়।

তিনি বলেন, অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে শফিক টাঙ্গাইলের নাছির গ্লাস ফ্যাক্টরিতে কাজ করে। ফ্যাক্টরি থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে চারটি বিয়ে করেছেন শফিক। বিশ্বনাথ থানায় গণধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি শফিক।

পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান আরও বলেন, গত ৯ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি ছিল মির্জাপুর থানার আতাউর রহমানের মেয়ে রুমি আক্তার। একই হাসপাতালে শফিকের শাশুড়িও চিকিৎসাধীন ছিল। সেখানে ওই কিশোরীর সঙ্গে শফিকের পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেমের অভিনয় করে রুমিকে সিলেট নিয়ে আসে শফিক। এরপর তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে। রুমিকে হত্যার দৃশ্য শফিকের এক ভাবি দেখে ফেলে।

এ ঘটনায় শফিকসহ এ পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শফিক রুমিকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেছে। বৃহস্পতিবার শফিককে আদালতে তুলে রিমান্ড চাওয়া হবে।

গ্রেপ্তার শফিক সুন্দরী তরুণীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে বেডরুমে নিত। একের পর এক হত্যা ও ধর্ষণ করে বেড়াত বলেও জানান পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর