কোটালীপাড়ায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯শত ৫০ হেক্টর জমিতে বেড়েছে বোরো আবাদ

কোটালীপাড়ায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯শত ৫০ হেক্টর জমিতে বেড়েছে বোরো আবাদ

কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯শত ৫০ হেক্টর জমিতে বেড়েছে বোরো আবাদ। ফলে বিগত বছরগুলোর চেয়ে এ বছর এই উপজেলায় ৬ হাজার মেট্রিক টন ধান উৎপাদন বাড়বে বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি অফিস।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদের তত্ত্বাবধানে এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত উন্নয়ন প্রতিনিধি সাবেক সিনিয়র সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকারের দিক নির্দেশনায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বোরো ধান আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাঠে নামেন। তারা ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষকদের নিয়ে ৩২টি উদ্বুদ্ধ করণ সভা করেন।

বিভিন্ন খালের কচুরিপানা পরিস্কার, জলাবদ্ধতা নিরসন ও খাল খননের মাধ্যমে অনেক জলাবদ্ধ পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিটুল রায় বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে এ উপজেলায় ২৫ হাজার ৫২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক ইঞ্চি জমিও ফাঁকা না রেখে সব জমি চাষাবাদের আওতায় আনার নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ পূরণে আমরা কৃষকদেরকে সরকারি প্রণোদনার বীজ সার দিয়েছি।

একই সাথে অধিক জমিতে চাষাবাদে কৃষকদেরকে উদ্বুদ্ধ করেছি। কৃষকরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে ২৬ হাজার ৪৭০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছেন। ফলে এই উপজেলায় ৯শত ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই এই বছর এ উপজেলায় ৬ হাজার মেট্রিক টন ধানের উৎপাদন বাড়বে। যার বাজার মূল্য ৭৫ লাখ টাকা।

উপজেলার পিঞ্জুরী ইউনিয়নের ছত্রকান্দা গ্রামের কৃষক সঞ্জয় মল্লিক বলেন, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আমাদের প্রণোদনার সার বীজ দিয়েছে। তারা ধান উৎপাদনে আমাদেরকে উদ্বুদ্ধ করেছে ও পরামর্শ দিয়েছে। এ কারণে আমাদের এলাকায় এই বছর অন্য বছরের তুলনায় বোরো আবাদ বেশী হয়েছে।

কান্দি ইউনিয়নের মাচারতারা গ্রামের কৃষক চিত্ত বেপারী বলেন, বিগত বছরগুলোতে আমাদের জমি জলাবদ্ধ থাকার কারণে চাষাবাদ করতে পারতাম না। এই বছর বিভিন্ন খালের কচুরিপানা পরিস্কার ও খাল খনন করার কারণে সময়মত জমি থেকে পানি নেমে গেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ধানের চারা দিয়েছে। এছাড়া ধান রোপনে শ্রমিক দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। তাই আমার ২ একর জমিতে ধান রোপন করা সম্ভব হয়েছে। এই জন্য আমি সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।

কান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তুষার মধু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদের তত্ত্বাবধানে এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত উন্নয়ন প্রতিনিধি সাবেক সিনিয়র সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকারের দিক নির্দেশনায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিটুল রায় তার অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে আমাদের সাথে গত নভেম্বর থেকে মাঠে কাজ করছেন। তাই এ উপজেলায় ৯শত ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এই রকম আরও টপিক