ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ

সংগৃহীত ছবি

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ

অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ব্যবহার নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের উপ-প্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল এমন অভিমত জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) রাতে ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে প্যাটেল বলেন, গণতন্ত্রের জন্য গণমাধ্যমকর্মীসহ সবার বাকস্বাধীনতার বিষয়টি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, বিশেষ করে (বাংলাদেশে) নির্বাচনের বছরে।

শনিবার (১ এপ্রিল) উপ-প্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেলের বিবৃতি ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশ করেছে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস।

প্যাটেলের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘আমরা (বাংলাদেশ) সরকারের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ব্যবহার নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংবাদপত্রের সদস্যসহ (সবার জন্য) একটি গুরুত্বপূর্ণ  উপাদান, বিশেষ করে নির্বাচনের বছরে। সংবাদপত্রের কোনো সদস্যকে তাদের কাজ করার জন্য হুমকি দেওয়া, হয়রানি করা, শারীরিকভাবে আক্রমণ করা বা গ্রেফতার করা উচিৎ নয়। ’

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হয়রানি করার অভিযোগে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একটি পত্রিকায় বিশিষ্টজনদের খোলা চিঠির বিষয়ে ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন ওঠে।

এর জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, চিঠির বিষয়ে তারা অবগত। দারিদ্র্য বিমোচনে মুহাম্মদ ইউনূসের ভূমিকাও তারা জানেন। এর বেশি কিছু বলার নেই।

বাংলাদেশ সরকারে এই আইন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জাতিসংঘ। অনতিবিলম্বে এই আইন স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। শুক্রবার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বাংলাদেশের প্রতি এই আহ্বান জানান। জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক দপ্তর শুক্রবার ওই বিবৃতি প্রকাশ করে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক দপ্তরের তথ্যমতে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বাংলাদেশে গণমাধ্যমে গ্রেপ্তার অব্যাহত থাকার পটভূমিতে মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার এই আহ্বান জানিয়েছেন। হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বলেন, বাংলাদেশ সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তারা এই আইনের অপপ্রয়োগ ঠেকাবে। কিন্তু ওই আইনে গ্রেপ্তার অব্যাহত রয়েছে।