সমালোচনা করলে এ সরকার রাষ্ট্রদ্রোহ মনে করে: মঈন খান

সমালোচনা করলে এ সরকার রাষ্ট্রদ্রোহ মনে করে: মঈন খান

অনলাইন ডেস্ক

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক তথ্য মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, দেশে বর্তমানে অলিখিত বাকশাল চলছে। সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করে সংবাদপত্রের টুটি চেপে ধরেছে, এই কালো আইন প্রয়োগ করে সাংবাদিকদের ওপর নিপীড়ন চালাচ্ছে।

তিনি বলেন, সরকারের ভুল ধরিয়ে সমালোচনা করলে সংশোধনের সুযোগ সৃষ্টি হয়। কিন্তু সমালোচনা করলে এ সরকার এটিকে রাষ্ট্রদ্রোহ মনে করে।

খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির সংবাদ পরিবেশন করে প্রথম আলোর সাংবাদিক সরকারের ভুল ধরিয়ে দিয়েছিল। এ জন্য তাকে পুরষ্কৃত করার দরকার ছিল। কিন্তু সরকার তা না করে তাকে রাতে বাসা থেকে তুলে নিয়ে জেলে নিক্ষেপ করেছে।

তিনি আরও বলেন, সংবাদপত্র নিধন আওয়ামী লীগের অতীত ইতিহাস।

তারা ৭২-৭৫ সালে চারটি সংবাদপত্র রেখে সব সংবাদপত্র বন্ধ করে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। জিয়াউর রহমান বাকশাল বাতিল করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে জনগণের অধিকার ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। শহীদ জিয়া সততা ও শৃঙ্খলার নজির স্থাপন করেছিলেন। তৃতীয় বিশ্বের নেতাদের মধ্যে যা বিরল।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে ক্ষমতা দখলের পর আবার অলিখতভাবে বাকশাল কায়েম করেছে। শহীদ জিয়ার আদর্শকে ধারণ করে আন্দোলনের মাধ্যমে এই নব্য বাকশালকে বিদায় করে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে জনগণের অধিকার আবার ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ১০ দফা বাস্তবায়ন এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য কামনায় শুক্রবার বিকেলে মহানগরের টেকনগপাড়ায় সাগর সৈকত কমিউনিটি সেন্টারে গাজীপুর জেলা বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভা, ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জেলা বিএনপির সভাপতি মো. ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহ রিয়াজুল হান্নানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহস্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, কেন্দ্রীয় নেতা কাজী সাইয়্যেদুল আলম বাবুল, মেয়র মুজিবুর রহমান, ডা. মাজহারুল আলম, ওমর ফারুক সাফিন।