যমুনার পেটে টাঙ্গাইলের শতাধিক ঘর-বাড়ি

যমুনা-গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে স্থাপনা

যমুনার পেটে টাঙ্গাইলের শতাধিক ঘর-বাড়ি

আতিকুর রহমান • টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

যমুনা ও এর শাখা নদীগুলোর পানি বৃদ্ধির ফলে টাঙ্গাইলের ৩টি উপজেলায় ব্যপক ভাঙন শুরু হয়েছে। শতাধিক ঘর-বাড়ি, ফসলি জমি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অনেক স্থাপনা নদী-গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চালালেও তা কোনো কাজে আসছে না।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উজান থেকে ধেয়ে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েকদিন আগের টানা বর্ষণের কারণে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

এতে জেলার ভুয়াপুর উপজেলার অর্জুনা, বরুরা, জগৎপুরা কুঠিবয়রা তারাই, বলরামপুরসহ, কালিহাতী উপজেলার বাঁশী গ্রাম ও সদর উপজেলার মাহমুদনগর ও কুকুরিয়া গ্রামের শতাধিক স্থাপনা বিলীন হয়ে গেছে।  

তবে পাউবো জানিয়েছে, যমুনা নদীর টাঙ্গাইল অংশে পানি এখনো বিপদ সীমার ৩ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে।  

news24bd.tv

এদিকে, ঢাকা পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাসমূহ পরিদর্শন করেছেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তবে তাৎক্ষনিক কোনো বরাদ্দ না থাকায় সম্পূর্ণ অনুন্নয়ন খাত থেকে জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তারা।

ঢাকা পাউবোর প্রধান প্রকৌশলী  ফখরুল ইসলাম নিউজ টোয়েন্টিফোরকে বলেন, ‘জরুরি ভিক্তিতে জিও ব্যাগ ফেলানো হচ্ছে। আমরা আশা করি, ভাঙ্গন রোধ কল্পে পানি উন্নয়ন বোর্ড তড়িৎ গতিতে ব্যবস্থা নিবে। ’

অপরদিকে, আপাতত অস্থায়ী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হলেও পানি নেমে যাবার পর পরই স্থায়ী ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান টাঙ্গাইল-৫ আসনের সংসদ সদস্য মো. ছানোয়ার হোসেন ।  

অস্থায়ী ব্যবস্থার পরিবর্তে ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণসহ সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।  


আতিকুর▐ অরিন▐ NEWS24
 

সম্পর্কিত খবর