নওগাঁয় প্রতারক চক্রের ৪ যুবতী ও তাদের সহযোগী আটক

আটক প্রতারক চক্রের ৮ সদস্য

নওগাঁয় প্রতারক চক্রের ৪ যুবতী ও তাদের সহযোগী আটক

বাবুল আখতার রানা • নওগাঁ প্রতিনিধি

শুরুতে ধনাঢ্য পরিবারের সদস্যদের টার্গেট করে প্রেম নিবেদন। এরপর সুকৌশলে বাড়িতে ডেকে এনে বেকায়দায় ফেলা। অতঃপর হুমকি-ধামকি দিয়ে মুক্তিপণ আদায়। এমনই ধূর্ত প্রতারক চক্রের ৪ যুবতী ও তাদের ৪ সহযোগী যুবককে আটক করেছে নওগাঁ পুলিশ।

 

এই চক্র বেশ কিছুদিন ধরে নওগাঁ শহরের বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে এই অপকর্ম করে আসছিল। পুলিশ তাদের বহুদিন ধরে খুঁজছিল। অবশেষে আজ (২১ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার) গভীর রাতে ল্যাব জোন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সহকারী পরিচালক ময়নুল হোসেনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পার-নওগাঁ দক্ষিণপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। প্রতারকরা ওই এলাকার মৃত শহিদুল ইসলামের বাড়িতে অবস্থান করছিল।

ধৃতরা হলো- পার-নওগাঁ দক্ষিণপাড়া এলাকার মৃত শহিদুল ইসলামের তিন মেয়ে শান্তা খাতুন (৩০), নিপা খাতুন (৩২) ও সন্ধ্যা খাতুন (১৯), বগুড়ার আদমদিঘী উপজেলার কেল্লা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে রিয়া খাতুন, সদর উপজেলার ফতেপুর গ্রামের আব্দুল হামিদ মণ্ডলের ছেলে হারুন মণ্ডল (৩৬), আজাহার আলীর ছেলে মো. আরিফ হোসেন (২৫), মো. আফজাল হোসেন মোল্লার ছেলে নুর ইসলাম নোবেল (২০) এবং আব্দুস সালামের ছেলে মো. আশিক (১৯)। শুক্রবার সকালে তাদেরকে নওগাঁ জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

সম্প্রতি তারা রফিকুল ইসলামকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বাড়িতে ডাকে। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে রফিকুল তাদের বাড়ি আসলে আটকে রেখে টাকা দাবি করে। তবে রফিকুল কৌশলে বিষয়টি থানায় জানায়।  

এরপর নওগাঁ পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাইয়ের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।  

ওসি আব্দুল হাই বলেন, ‘আটক যুবতীরা ধনাঢ্য ব্যক্তিদের টার্গেট করে মোবাইল ফোন নম্বর সংগ্রহ করে। তাদের প্রথমে প্রেমের অফার দিয়ে বাড়িতে ডাকে। এই ডাকে কেউ কেউ সাড়া দিয়ে ফেঁসে যায়। ’

‘তাদের বাড়িতে ডেকে এনে ঘরের দরজা বন্ধ করে উভয়ে বিবস্ত্র হয়। ওই সময় তাদের পুরুষ সহযোগীরা এসে হাজির হয় ও নগ্ন ছবি তোলে। পরে সেসব ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করে। ’ 

ওসি আরও বলেন, ‘এর আগে ওই প্রতারকরা নওগাঁ শহরের বাঙ্গাবাড়িয়া এলাকার শিউলী ম্যানসনে ভাড়া থাকাকালীন এক ব্যক্তিকে ফাঁদে ফেলে নগদ ৫০ হাজার টাকা আদায় করে এবং আরও ৮ লাখ টাকা দাবি করে সাদা স্ট্যাম্পে সই করিয়ে ছেড়ে দিয়েছিল। সে ব্যাপারেও একটি মামলা থানায় লিপিবদ্ধ রয়েছে। ’

 

বাবুল▐ অরিন▐ NEWS24 

সম্পর্কিত খবর