শেষবারের মত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ডা. জাফরুল্লাহর মরদেহ

সংগৃহীত ছবি

শেষবারের মত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ডা. জাফরুল্লাহর মরদেহ

অনলাইন ডেস্ক

শেষ শ্রদ্ধা জানাতে দেশবরেণ্য চিকিৎসক, গণস্বাস্থ্য হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ নেওয়া হয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে। শুক্রবার বেলা ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত সাভারের পিএইচএ ভবনের সামনে জাফরুল্লাহর মরদেহবাহী গাড়িটি রাখা হয় সবার শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য। এ সময় সেখানে এক শোকাবহ পরিবেশ তৈরি হয়।

১৯৭১ সালে ব্রিটেনে ডাক্তারি পড়ার সময় মুক্তিযুদ্ধের আহ্বানে ছিঁড়ে ফেলেন পাকিস্তানি পাসপোর্ট।

যোগ দেন মুক্তিযুদ্ধে। মেলাঘরে গড়ে তোলেন ফিল্ড হাসপাতাল। যুদ্ধ শেষে সেই হাসপাতালই পুনর্গঠন করেন সাভারের নলামে। নাম দেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
স্বাধীনতার পর পাঁচ দশক ধরে এই হাসপাতালে ডা. জাফরুল্লাহ স্বল্পমূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার চেষ্টা করে গেছেন।

বিদায়বেলায় তার মরদেহ আনা হয় সেই গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে। পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সেখানেই তার দাফন হবে। এদিন জাফরুল্লাহর মরদেহে দল-মত নির্বিশেষে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ ফুলের দিয়ে নিরবে দাঁড়িয়ে তার প্রতি জানায় শ্রদ্ধা। মঙ্গলবার রাতে ৮২ বছর বয়সে মারা যান মুক্তিসংগ্রামী জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। কোভিড-১৯ এর পর কিডনি সমস্যার পাশাপাশি তার লিভারের সমস্যাও দেখা দেয়। এছাড়া, তিনি অপুষ্টি‌ এবং গুরুতর সেপ‌টিসেমিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সুশীল সমাজ ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সাধারণ মানুষ। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে “গার্ড অব অনার” প্রদান করা হয়।

রাতে ডা. জাফরুল্লাহর মরদেহ আনা হয় সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে। শুক্রবার সকালে পিএইচএ ভবনের সামনে শ্রদ্ধা নিবেদনের নির্ধারিত জায়গায় আনা হয় তার মরদেহ। এ সময় সেখানে ভিড় জমান জাফরুল্লাহর রণাঙ্গনের সহযোদ্ধা, দীর্ঘদিনের সহকর্মী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সবারই চাওয়া তাদের প্রিয়ভাজন মানুষটিকে শেষ দেখা দেখতে।

শ্রদ্ধা জানান ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য বেনজির আহমেদ, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য ড. আবুল হোসেন এবং স্থানীয় রাজনীতিবিদসহ অনেকেই। স্থানীয় ইউনিয়ন ও উপজেলার বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকেও তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে।

জুমার নামাজের আগ পর্যন্ত সেখানে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে। নামাজ শেষে সেখানেই তার জানাজা হবে। এরপর সাভার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সূচনা ভবনের সামনে তার মরদেহ দাফন করা হবে।

news24bd/ARH