দেশের অর্থনীতির লাইফলাইন খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। এ মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন ১৭ জেলার ২০ হাজারের বেশি যানবাহন চলাচল করে। ঈদ এলে যানবাহনের সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এবারের ঈদেও ব্যতিক্রম হয়নি।
শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সকাল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে বেশিরভাগ লেন ফাঁকা দেখা গেছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের মৌচাক, শিমরাইল মোড়, মদনপুরসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
যাত্রী রায়হান রাব্বী বলেন, ‘মহাসড়ক ফাঁকা থাকায় এবারের ঈদযাত্রা অনেক স্বস্তিদায়ক হয়েছে। কোনো দুর্ভোগ ছাড়াই গন্তব্যস্থলে যেতে পারছি। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার মহাসড়কের পরিস্থিতি ভালো রয়েছে। ’
স্টারলাইন পরিবহনের বাসচালক জুবায়ের হোসেন বলেন, ‘ঈদের একদিন আগে মহাসড়কে এমন অবস্থা আগে কখনো দেখা যায়নি। মহাসড়ক সবসময় এমন ফাঁকা থাকলে চলাচল করে শান্তি পাওয়া যায়। ’
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার শিমরাইল ক্যাম্পের ট্রাফিক ইনচার্জ (টিআই) একেএম শরফুদ্দিন জানান, এবারের ঈদে গাজীপুর রিজিয়নে মোট ৬০২ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড থেকে সোনারগাঁয়ের মেঘনাঘাট টোলপ্লাজা এলাকা এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর থেকে রূপগঞ্জের ভুলতা পর্যন্ত অংশে ১৬৭ জন পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তারা তিন শিফটে মহাসড়কে কাজ করে যাচ্ছেন। ঈদের পরবর্তী তিনদিন পর্যন্ত তারা মহাসড়কে কাজ করবেন। তাদের পাশাপাশি ৮০ কমিউনিটি পুলিশও মহাসড়কে কাজ করছেন।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার টিআই মো. ইব্রাহিম জানান, যানজট নিরসনে ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট মহাসড়কে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি ছয়টি মোবাইল টিম, তিনটি হোন্ডা টিম ও একটি অ্যাম্বুলেন্স টিম থাকবে। মহাসড়কে কোনো যানবাহন বিকল হয়ে গেলে কিংবা কোনো সড়ক দুর্ঘটনা ঘটলে তা দ্রুত সরানোর জন্য ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত একটি রেকার, সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর থেকে মেঘনাঘাট টোলপ্লাজা পর্যন্ত একটি রেকার এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ভুলতা এলাকা পর্যন্ত আরেকটি রেকার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ঈদকে কেন্দ্র করে মেঘনাঘাট টোলপ্লাজার প্রত্যেকটি বুথ সবসময় যেন সচল থাকে সে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর অংশটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। এ পয়েন্টে সবচেয়ে বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আশা করছি, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর ঈদযাত্রা স্বাভাবিক হবে। আমরা ঘরমুখো মানুষের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে চেষ্টা করছি।