ঈদ সামনে রেখে পাঞ্জাবি বিক্রি হয় বেশ। স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য কম টাকার পাঞ্জাবির পসরা সাজিয়ে বসেন দোকানিরা, তেমনি ধনী ব্যক্তিদের জন্য দামি পাঞ্জাবি নিয়ে আসে ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলো।
এবারও ঈদ উপলক্ষে হরেক রকমের পাঞ্জাবি এসেছে। একেকটির দাম একেক রকম।
পলিনোজ জর্জেটের ওপর সূক্ষ্ম সেলাইয়ে জামদানির নকশা করা এই পাঞ্জাবি মাত্র একটি আনা হয়েছে।
ভাসাবির সেলস এক্সিকিউটিভ ফরিদ আহমেদ জানালেন, ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা দামের পাঞ্জাবি বেশি বিক্রি হয়েছে এবার। ১০টি ‘এক্সক্লুসিভ’ পাঞ্জাবি আনা হয়েছে। সেগুলোর দাম ৪০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকার মধ্যে। এর মধ্যে ৬৮ হাজার আর ৪৫ হাজার টাকার দুটি পাঞ্জাবি বিক্রি হয়েছে। এক্সক্লুসিভ আটটির মধ্যে সবচেয়ে বেশি দামি এই পাঞ্জাবিটি।
৭৯ হাজার টাকা দামের আরোগ ব্র্যান্ডের পাঞ্জাবিটির পাশেই রাখা ছিল মনোজ আগারওয়ালের ডিজাইন করা আরেকটি পাঞ্জাবি। অফ হোয়াইট রঙের চিজ কটনের কাপড়ে গলায়, কলারে জামদানির নকশা করা এই পাঞ্জাবির দাম প্রায় ৪৮ হাজার টাকা।
ফরিদ আহমেদ বললেন, এ ধরনের পাঞ্জাবি একটি করে আনার কারণ দুটি। যাতে একই রকম পাঞ্জাবি দুজন ক্রেতার কাছে না পৌঁছায়। কেউ না কিনলে ক্ষতির পরিমাণ যেন বেশি না হয়।
গুলশান–১ নম্বরে ফ্যাশন ব্র্যান্ড জারার সংগ্রহেও দামি পাঞ্জাবির দেখা পাওয়া গেল। এবারের ঈদের জন্য তারা সবচেয়ে বেশি দামের যে পাঞ্জাবিটি এনেছে, সেটির দাম ভ্যাটসহ ৩৬ হাজার টাকা। পিকক ব্লু রঙের মসলিন কাতানের কাপড়ে রয়েল ওয়ার্কের এমব্রয়ডারির কাজ। এই পাঞ্জাবি চার মাপের চারটি রয়েছে।
এর পাশেই দেখা গেল ১৭ হাজার টাকা দামের জ্যাকল্ট কটনের পাঞ্জাবি। জারা কালেকশনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অ্যান্ড পারচেজ মো. জাফর ইকবাল প্রথম আলোকে জানালেন, অনেক বেশি শৌখিন ও ধনাঢ্য মানুষেরাই এসব পাঞ্জাবি কিনে থাকেন। তাই একটি করে আনা হয়। এর সবই ভারত থেকে আনা পোশাক।
২০ হাজার টাকার মধ্যে পাঞ্জাবি দেশীয় অনেক ব্র্যান্ডই এনেছে। বসুন্ধরা শপিং মলে আড়ংয়ের আউটলেটে পাওয়া গেল জয়শ্রী সিল্কের একটি পাঞ্জাবি। গাঢ় নেভি ব্লু রঙের কাপড়ে নীল রং দিয়ে ঠাসা বুননের নকশা করা এই পাঞ্জাবির গায়ে লেখা দাম ১৮ হাজার টাকা। তবে এর সঙ্গে ক্রেতাকে ভ্যাটও পরিশোধ করতে হবে।