সর্বশেষ ২৮ ম্যাচে অঁজের বিপক্ষে একটি ম্যাচও হারেনি পিএসজি। আর মঞ্চ যখন ফ্রেঞ্চ লিগ ‘আঁ’, সর্বশেষ ১৩ ম্যাচের সবকটিতে পিএসজির কাছে হেরেছে অঁজে।
কিন্তু আজ ম্যাচের শুরুতে মনে হচ্ছিল, ধারাটা বদলাতে চায় অঁজে। ৪ মিনিটে ম্যাচের প্রথম আক্রমণটা তারাই করেছিল।
অঁজেও পিএসজির কাছে আজ ঠাঁই পায়নি। মেসি–এমবাপ্পের যুগলবন্দীতে হেরেছে তারা ২–১ গোলে। এমবাপ্পে করেছেন জোড়া গোল, মেসি অবদান রেখেছেন একটি গোল করিয়ে।
প্রথমার্ধে ৪ মিনিটের আক্রমণটি ছাড়া আরও দুবার গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল অঁজে।
অঁজের গোটা তিনেক আক্রমণ ছাড়া প্রথমার্ধটা পিএসজিরই। মেসি আর এমবাপ্পের দুর্দান্ত বোঝাপড়ায় একের পর এক আক্রমণ করে গেছে তারা। বলের দখল রেখেছে ৭০ শতাংশেরও বেশি।
এরই ধারাবাহিকতায় ৯ মিনিটে প্রথম গোল পায় পিএসজি। অসাধারণভাবে বল নিয়ন্ত্রণ করে অঁজের কয়েকজন খেলোয়াড়ের মাথার ওপর দিয়ে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক বল দেন বের্নাতকে। বের্নাতের পাস থেকে বুটের সামনের অংশের টোকায় বল জালে পাঠান এমবাপ্পে।
২৬ মিনিটে পিএসজির দ্বিতীয় গোলটিও এমবাপ্পের। এবার গোলের জোগানদাতা সরাসরি মেসি। দুর্দান্ত ড্রিবলিংয়ে পিএসজির রক্ষণ এলোমেলো করে তিনি বল দেন এমবাপ্পেকে। মেসির কাছ থেকে বল পেয়ে অঁজের গোলকিপারকে পেছনে ফেলে গোল করেন ফরাসি তারকা।
এই অ্যাসিস্টে মেসি ফ্রেঞ্চ লিগ ‘আঁ’র একটি কীর্তির ছোট্ট তালিকায়ও নিজের নামটি লিখিয়ে নেন। ২০০৬–০৭ মৌসুমের পর তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে লিগ ওয়ানের এক মৌসুমে কমপক্ষে ১৫টি গোল ও ১৫টি অ্যাসিস্ট করেছেন মেসি। এর আগে এই তালিকায় ছিলেন এডেন হ্যাজার্ড (২০ গোল, ১৬ অ্যাসিস্ট) ও এমবাপ্পে (২৮ ও ১৭)।
দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণের ধারা অব্যাহত রাখে পিএসজি। কিন্তু গোল আর পায়নি। উল্টো ৮৭ মিনিটে একটি গোল শোধ দেয় অঁজে। এই জয়ে ৩২ ম্যাচে ৭৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে প্যারিসের দলটি। এক ম্যাচ কম খেলে দ্বিতীয় স্থানে থাকা মার্শেইয়ের পয়েন্ট ৬৪। ৩১ ম্যাচে খেলে ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে লাঁস।
news24bd.tv/আইএএম