বগুড়ায় ছুরিকাঘাতে নিহত শিক্ষকের দাফন সম্পন্ন

বগুড়ায় ছুরিকাঘাতে নিহত শিক্ষকের দাফন সম্পন্ন

বগুড়া প্রতিনিধি

বগুড়ায় ছুরিকাঘাতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষকের ২ দফা জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের ও অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেপ্তারও করেছে।

তবে জমি সংক্রান্ত পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের কথা বলা হলেও স্বজনরা এ বিষয়ে অবগত নয়। ঈদের আনন্দ বিষাদে পরিণত হয়েছে নিহতের স্বজনদের কাছে, শোকের ছায়া গোটা এলাকাজুড়ে।

বন্ধুবৎসল ও ছাত্রবান্ধব প্রিয় শিক্ষকের এমন নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় হতবাক প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও সহকর্মীরা। এমন ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেছেন তারা।

দীর্ঘদিন বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ছিলেন রেজাউল করিম পান্না। সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে অবসরজীবন পার করছিলেন তিনি।

সহকর্মীসহ শিক্ষার্থীদের প্রিয় শিক্ষক ছিলেন তিনি। পবিত্র রমজান মাসে ৯দিন এতেকাফে ছিলেন স্থানীয় মসজিদে। এতেকাফ শেষে শুক্রবার রাতে মোটরসাইকেল যোগে শহরে আসেন কেনাকাটা করতে।

শুক্রবার রাত পৌনে ১২টার দিকে শহরের ব্যস্ততম থানা মোড় এলাকায় দুর্বৃত্তের উপর্যুপুরি ছুরিকাঘাতে গুরুত্বর আহত হয়ে শজিমেক হাসপাতালে নেয়ার পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন পান্না। তার মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া নেমে আসে শহরজুড়ে।

শনিবার দুপুরে শহরের ফুলবাড়ী বাসভবনে তার মরদেহ নেয়া হলে তাকে এক নজর দেখার জন্য ভিড় করে হাজারও মানুষ। বাদ যোহর সরকারি আজিজুল হক কলেজ মাঠে ও বাদ আসর গাবতলীর কাগইলে জানাজা শেষে মরহুমের দাফন সম্পন্ন হয়।

তার এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না স্বজনসহ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও তার সহকর্মীরা। এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মেন্দি খায়রুলকে আটক করেছে পুলিশ। আটক খায়রুল শহরের ফুলবাড়ি এলাকার সম্রাট পিত্তিরাজের ছেলে।

জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তিনি ওই শিক্ষককে হত্যা করেছেন বলে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন, তবে স্বজনসহ তার সহকর্মীরা বলছে প্রয়াত এই শিক্ষকের সাথে কারও বিরোধ ছিলো না।

news24bd.tv/FA

এই রকম আরও টপিক