নারায়ণগঞ্জের ৭ খুনের ৯ বছর : রায় কার্যকর নিয়ে হতাশায় স্বজনরা

সংগৃহীত ছবি

নারায়ণগঞ্জের ৭ খুনের ৯ বছর : রায় কার্যকর নিয়ে হতাশায় স্বজনরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

নারায়ণগঞ্জে বহুল আলোচিত ৭ খুনের ঘটনার ৯ বছর আজ। তবে মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তির জন্য আপিল বিভাগের দিকে তাকিয়ে নিহতদের স্বজনরা। দীর্ঘদিনেও মামলার রায় কার্যকর না হওয়ায় হতাশ তারা।

নিহতরা হলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের তৎকালীন প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহীমকে।

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের গাড়ি চালক ছিলেন জাহাঙ্গীর। ছবি আর ব্যবহৃত জিনিসপত্রে তার স্মৃতি হাতরে বেড়ান পরিবারের সদস্যরা। বহুল আলোচিত ৭ খুনের মামলায় উচ্চ আদালতের রায় এখনও কার্যকর না হওয়ায় হতাশ তারা।

জাহাঙ্গীরের মতো প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ অন্য ৬ জনের পরিবারের গল্পগুলোও অনেকটা একই রকম।

স্বজন হারানোর বেদনা তাড়িয়ে ফেরে তাদের। উপার্জনক্ষম সদস্যকে হারিয়ে মানবেতর দিন কাটছে অধিকাংশ পরিবারগুলোর।

২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রধান আসামি নূর হোসেন, চাকরিচ্যুত র‍্যাব কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ, মেজর আরিফ হোসেন ও লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম এম রানাসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন।

পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ২২ আগস্ট উচ্চ আদালত ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ৮ জন এখনও পলাতক। দ্রুত আপিল শুনানি শেষ করে রায় কার্যকরের দাবি বাদীপক্ষের আইনজীবীর

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, দীর্ঘদিন পার হলেও আপিলের ডিভিশনে মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য উপস্থাপন করা হয়নি। এই বিলম্বের জন্য রাষ্ট্রকে দায়ী করেন এই আইনজীবী

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল একটি মামলায় হাজিরা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে নারায়ণগঞ্জের লিংক রোডের লামাপাড়া এলাকা থেকে অপহৃত হন প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ ৭ জন। ৩০ এপ্রিল ও ১ মে শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের মরদেহ ভেসে ওঠে।

আলোচিত এই মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, প্রধান আসামি নূর হোসেন অর্থের বিনিময়ে র‍্যাব কর্মকর্তাদের ব্যবহার করে প্রতিপক্ষ নজরুল ইসলামসহ ৭ জনকে অপহরণ করান। পরে তাদের হত্যা করা হয়।

এই রকম আরও টপিক