পাইপলাইনে লিকেজ, রূপগঞ্জে বন্ধ গ্যাস সরবরাহ

সংগৃহীত ছবি

পাইপলাইনে লিকেজ, রূপগঞ্জে বন্ধ গ্যাস সরবরাহ

অনলাইন ডেস্ক

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সিটি গ্রুপের কারখানার সামনে গ্যাসের পাইপলাইনে বড় ধরনের লিকেজের ঘটনায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রেখেছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি লিমিটেড। যে কারণে এ এলাকার সব শিল্পকারখানাগুলো গ্যাস সংকটে বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি ভোগান্তিতে পড়েছে এই উপজেলার আবাসিক গ্রাহকরাও।

তিতাস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে এই লিকেজের ঘটনা ঘটে।

পরে আজ বৃহস্পতিবার সকালে পাইপলাইনে এই লিকেজের ঘটনা চিহ্নিত করে পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে মেরামতের জন্য সকাল থেকেই তিতাসের কর্মীরা কাজ করছে। রূপগঞ্জে বিপুল সংখ্যক শিল্পকারখানা থাকায় রাতের মধ্যে পাইপলাইন মেরামতের কাজ শেষ করার লক্ষ্য নিয়েই কাজ করা হচ্ছে বলেও তারা জানান।

রূপগঞ্জে গ্যাস বিতরণের দায়িত্বে আছে তিতাসের সোনারগাঁও আঞ্চলিক অফিস। এই অফিসে কর্মরত তিতাসের মেকানিক্যাল খইয়াম ব্যাপারি লিকেজ বন্ধে কাজ করছেন।

তিনি বলেন, ‘বড় ধরনের লিকেজ হওয়ার কারণে সকাল থেকে চেষ্টা চালিয়েও এখন পর্যন্ত লিকেজ বন্ধ করা যায়নি। দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য রূপগঞ্জে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত লাইনের কাজ মেরামত শেষ না হবে ততক্ষণ গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। ’

তিনি আরো বলেন, ‘১২ ফিট নিচে পাইপলাইনে লিকেজ হওয়ায় ভেকু মেশিনের মাধ্যমে মাটি খনন করা হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে খননকৃত জায়গায় পানি জমে কাজের ব্যাঘাত ঘটছে। তবে এই এলাকায় শিল্পকারখানা থাকায় আমরা রাতের মধ্যেই পাইপলাইন মেরামত কাজ শেষ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। ’

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজধানী ঢাকা ও তার আশপাশে জালের মতো ছড়িয়ে থাকা গ্যাস পাইপলাইনের ৬০ শতাংশেরই মেয়াদ পেরিয়ে গেছে। চার-পাঁচ দশক আগে অর্থাৎ প্রতিষ্ঠার পর থেকে যেসব পাইপলাইন দিয়ে গ্যাস বিতরণ শুরু হয়েছে, সেই একই পাইপলাইনে এখনো বিতরণ অব্যাহত আছে। এজন্য তিতাসের বিভিন্ন বিতরণ এলাকার মাটির নিচ থেকে প্রায়ই গ্যাস বের হতে দেখা যাচ্ছে। এ ধরনের গ্যাস থেকে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর আগেও গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে একাধিক বড় ধরনের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

বিস্ফোরক অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গেল পাঁচ বছরে তিতাসের আওতাধীন এলাকায় গ্যাস পাইপলাইনজনিত ১৪ দুর্ঘটনায় ৫৮ জনের জীবন গেছে। আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ।

এদিকে গত সোমবার রাতে চাহিদার চেয়ে বেশি গ্যাস সরবরাহ কারার কারণে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় লিকেজ থেকে গ্যাসের গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছিল। এতে বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। রাতেই তিতাস কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও এখনো ভয় কাটেনি রাজধানীবাসীর।