পটুয়াখালীর দশমিনায় তেতুলিয়া নদীর মোহনায় ঝড়ের কবলে পরে বিয়ের ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ বর ও তার মা সহ নিখোঁজ চার জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে তেতুলিয়া ও বদনাতলী নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ভাসমান অবস্থায় নিখোঁজদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তারা হলেন, বর রাব্বি হাওলাদার (২০) ও তার মা সেলিনা আক্তার (৪০), শিশু খাদিজা (৫) ও মানসুরা (৮)। গলাচিপা উপজেলার বদনাতলী লঞ্চঘাট সংলগ্ন নদী থেকে মা-ছেলেকে ভাসমান অবস্থায় ও শিশু খাদিজা ও মানসুরাকে উদ্ধার করা হয় সকাল সাড়ে ১০ টায় তেতুলিয়া নদীর পাতার চর পয়েন্ট এলাকা থেকে।
এর আগে ট্রলারডুবির ঘটনার পর পরই বরের ফুফু লিপি বেগমের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে ট্রলারডুবির ঘটনায় মোট পাঁচ জনের মরদেহ উদ্ধার করার পর উদ্ধার কার্যক্রম সমাপ্ত করা হয়।
উদ্ধারকারী দলের দল নেতা ও পটুয়াখালী নদী ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার মো. রেজওয়ান জানান, দুই জনের মরদেহ গলাচিপার বদনাতলী সংলগ্ন নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি দুই শিশুর মরদেহ তেতুলিয়া নদীর পাতারচর পয়েন্ট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
দশমিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাফিসা নাজ নীরা বলেন, ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ মোট পাঁচ জনের মরদেহ উদ্ধার করার পর দুপুরে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রত্যেক পরিবারকে উপজেলা প্রসাশনের পক্ষ থেকে বিশ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নেয়া সকলকে ধন্যবাদ জানান ইউএনও।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত শুক্রবার বিকেলে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে দশমিনা উপজেলার চর বোরহান থেকে আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে দশমিনার নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন বর রাব্বি হাওলাদার। এ সময় রনগোপালদী ইউনিয়নের আউলিয়াপুর লঞ্চঘাট সংলগ্ন তেতুলিয়া নদীতে ঝড়ের কবলে পরে ১৫-১৬ জন যাত্রী নিয়ে তাদের ট্রলার ডুবে যায়। অনেকেই বেচে ফিরলেও মৃত দেহ উদ্ধার করা হয় বর রাব্বির ফুপু লিপি বেগম (৩০) এর লাশ। বর তার মা সহ নিখোঁজ হয় ৪ জন।
এর মধ্যে সকালে বর রাব্বি ও তার মা সেলিনা আক্তারের লাশ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় জেলেরা তাদের লাশ নদীতে ভাসমান অবস্থায় দেখে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা গিয়ে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তেতুলিয়া নদীর পাতারচর পয়েন্টে ভাসমান অবস্থায় দুই শিশু খাদিজা (৫) এবং মানসুরা (৮) এর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
news24bd.tv/কেআই