মোংলায় এল ৭০৩ রিকন্ডিশন্ড গাড়ি

মোংলায় এল ৭০৩ রিকন্ডিশন্ড গাড়ি

শেখ আহসানুল করিম, বাগেরহাট

ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতির অস্থিতিশীলতার প্রভাবে দেশে ডলার সংকট কেটে যাওয়ায় ‘এমভি মালয়েশিয়া স্টার’ নামে একটি জাহাজ করে জাপান থেকে মোংলা বন্দরে এসেছে ৭০৩টি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি। বৃহস্পতিবার মোংলা বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে নোঙর করে মালেশিয়ার পতাকাবাহী এই জাহাজটি। নোঙ্গর করার পর রাতেই গাড়িগুলো খালাস করা হয়েছে। চলতি মাসের ১৯ ও ২১ মে আরও দুই বিদেশি জাহাজ গাড়ি নিয়ে আসবে মোংলা বন্দরে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ
এতথ্য নিশ্চিত করেছে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও মোংলা কাস্টমস হাউসের জানায়, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতির অস্থিতিশীলতার প্রভাব পড়ে বাংলাদেশেও। এ অবস্থায় ডলার সংকটের কারণে গাড়ি আমদানি কমে যায়। এর ফলে গত এক বছরে ৪০০ কোটি টাকা রাজস্ব হারায় মোংলা কাস্টমস হাউজ।

নতুন করে গাড়ি আমদানি বাড়ায় এ বছর রাজস্ব বাড়বে।

এমভি মালয়েশিয়া স্টার জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট এনসিয়েন্ট স্টিমশিপের ব্যবস্থাপক মো. ওয়াহিদুজ্জামান জানান, দেশে ডলার সংকট কেটে যাওয়ায় দেশে ফের রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি শুরু হয়েছে। ‘এমভি মালয়েশিয়া স্টার’ নামে একটি জাহাজ করে জাপান থেকে মোংলা বন্দরে আসা ৭০৩টি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি বৃহস্পতিবার রাতেই খালস করা হয়েছে। এসবের মধ্যে এক্সিও, প্রিমিও, অ্যালিয়ন, অ্যাকুয়া, প্রাডো ও মিনিবাসসহ একাধিক ব্রান্ডের গাড়ি রয়েছে।

এগুলো জাপান থেকে সিঙ্গাপুর হয়ে মোংলা বন্দরে এসেছে। এই চালানের ৫৬৯টি গাড়ি চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস করা হয়েছে। চলতি মাসের ১৯ ও ২১ মে দুই বিদেশি জাহাজ আরও গাড়ি নিয়ে এসবে মোংলা বন্দরে। গত এপ্রিল মাসে মোংলা বন্দরে এসেছিল মাত্র ৫০০টি গাড়ি। দেশে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে গত বছরের আগস্ট থেকে বিলাসবহুল পণ্য আমদানি বন্ধ ছিল। এখন দেশে ডলার এখন সংকট কেটে গেছে। এ জন্য গাড়ি আমদানি বেড়েছে।

বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হাবিবুল্লাহ ডন জানান, এতদিন ডলার সংকটে গাড়ি আমদানি করা যাচ্ছিল না। গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে ডলার সংকট ছিল। জানুয়ারি মাসের পর ডলার ছাড় করা হয়েছে। এরপর এলসি দেওয়ায় এখন গাড়ি আমদানি করা হচ্ছে। অর্থনৈতিক সংকটের আগে মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে মাসে দেড়-দুই হাজার গাড়ি আমদানি হতো। গত ৯ মাসে দেশে তেমন গাড়ি আমদানি করা যায়নি। চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি থেকে ডলার পাওয়ায় এলসি খুলেছি। সেই এলসি করা গাড়িগুলো এখন মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দরে আসছে।

ব্যাংকগুলো এলসি খোলার সুযোগ দিলে গাড়ি আমদানি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

মোংলা কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার মাহফুজ আহমেদ জানান, গাড়ি আমদানি থেকে মোংলা কাস্টমস বছরে সর্বোচ্চ রাজস্ব আয় করে থাকে। গাড়ি আমদানি কম হওয়ায় এক বছরে মোংলা কাস্টমসের ৪০০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় কমেছে। এ বছর গাড়ি আমদানি বাড়ায় রাজস্ব বাড়বে বলে জানান এই কাস্টমস কর্মকর্তা।
news24bd.tv/তৌহিদ

এই রকম আরও টপিক