কলেজছাত্র হত্যায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

কলেজছাত্র হত্যায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

সাতক্ষীরার চাঞ্চল্যকর কলেজছাত্র গৌতম হত্যা মামলায় চার আসামিকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে এ মামলার ছয় আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।

রায় ঘোষণার সময় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর দুই আসামি পলাতক রয়েছে।

বুধবার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদার এ রায় দেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার বহেরা গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে আলী আহম্মেদ শাওন, ভাড়ুয়াখালি গ্রামের আব্দুল করিম মোড়লের ছেলে শাহাদাৎ হোসেন, মহাদেবনগর গ্রামের রেজাউল শেখের ছেলে সাজু শেখ ও নাজমুল হোসেন।

খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন ওমর ফারুক, নূর আহম্মেদ মুক্ত, মহসিন আলী, কবিরুল ইসলাম মিঠু, জামসেদ আলী ও ফিরোজা খাতুন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবিতে ২০১৬ সালের ১৩ ডিসেম্বর রাত সাড়ে আটটার দিকে, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঘোনা ইউনিয়নের মহাদেবনগর গ্রামের ইউপি সদস্য গণেশ সরকারের ছেলে এবং সীমান্ত ডিগ্রি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র গৌতম সরকারকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে তার বাড়ির পাশে মোকলেছুর রহমানের নির্মাণাধীন বাড়িতে হত্যা করা হয়।

হত্যার আগে তার গালের মধ্যে গুলের কৌটা ঢুকিয়ে মুখে স্কচটেপ সেঁটে দেয়া হয়। পরে মরদেহের বিভিন্ন স্থানে দড়ি দিয়ে ১২টি ইট ঝুলিয়ে পার্শ্ববর্তী মোকলেছুর রহমানের পুকুরে বাঁশের সঙ্গে বেঁধে ডুবিয়ে দেয়া হয়।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা গণেশ সরকার বাদী হয়ে আলী আহম্মেদ শাওন, শাহাদাৎ হোসেন, সাজু শেখ, নাজমুল হোসেন, মুহসিন আলী ও কবিরুল ইসলাম মিঠুর নামে মামলা করেন।

আসামিদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পরদিন ওমর ফারুক, নূর আহম্মেদ মুক্ত ও জামসেদের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি সম্পূরক অভিযোগ দায়ের করা হয়। নাজমুল, শাহাদাৎ ও সাজু শেখ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।

এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে উল্লিখিত চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাদেরকে ফাঁসির আদেশ দেন। এছাড়া বাকি ছয় আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তপন কুমার দাস জানান, রায় ঘোষণার সময় শাহাদাৎ হোসেন ও নাজমুল হোসেন আদালতে হাজির ছিলেন। তবে আলী আহম্মেদ শাওন ও সাজু শেখ পলাতক রয়েছেন।


NEWS24▐ কামরুল

সম্পর্কিত খবর