ফুলবাড়ী ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

ফুলবাড়ী ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

অনলাইন ডেস্ক

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি ও সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর।

সোমবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার তিনকোনা মোড়ের আলহাজ আমির আলী মিয়া মার্কেটের পাশে এ ঘটনা ঘটে।

পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদীর সঙ্গে বর্তমান কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক তাহাদ হাসান তুষারের মধ্যে মাদককে কেন্দ্র করে উপজেলার তিনকোনা মোড়ে মারপিটের ঘটনা ঘটে।

এ নিয়ে গত তিন দিন উপজেলা ছাত্রলীগের উত্তেজনা চলছিল। বিষয়টি পুলিশ অবগত ছিল।

এরই মধ্যে শুরু হয় দুই গ্রুপের মহড়া।

সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তৌকির হাসান তমালের নেতৃত্বে একটি মিছিলের প্রস্তুতি নিলে পুলিশ মিছিল না করার জন্য আহ্বান জানায়।

এরই মধ্যে মেহেদী তার লোকজনসহ রাত ৯টার দিকে তিনকোনা মোড়ে ছাত্রলীগের ওপর হামলা করলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

এতে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি তৌকির হাসান তমাল, সাংগঠনিক সম্পাদক তাহাদ হাসান তুষার ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী, ছাত্রলীগ কর্মী রিয়াজ, মো. শামিম, নুরনবী ইসলাম লিটন, মো. নুরনবী, নাহিদ হাসান লিমন, সাংগঠনিক সম্পাদক তাহাদ হাসান তুষারের চাচা মিজানুর রহমানসহ ১০ জন আহত হন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের উদ্ধার করে ফুলবাড়ী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে সাংগঠনিক সম্পাদক তাহাদ হাসান তুষার ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান ও মিজানুরের অবস্থা গুরুতর। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক মিলন জানান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী ও তার সঙ্গে থাকা শিবলুকে অযাচিতভাবে গত শনিবার রাতে বর্তমান কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক তাহাদ হাসান তুষারের নেতৃত্বে বেধড়ক মারপিট করা হয়।

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী জানান, কারা মাদকের সঙ্গে জড়িত ডোপ টেস্ট করলেই বোঝা যাবে। প্রথমেই তারা আমার ওপর হামলা করেছে। তদন্ত করলেই আসল রহস্য বের হয়ে আসবে।

উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি তৌকির হাসান তমাল জানান, আমাদের পার্টি অফিসে একটি মিটিং ছিল। মিটিং শেষে আমরা যখন বেড় হই তখন মেহেদী তার লোকজনসহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমি ও আমার সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী আহত হন। তারা ছাত্রলীগ কার্যালয়ে হামলা করে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর করেছে। থানায় অভিযোগ করেছি।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলী রতন পোদ্দার জানিয়েছেন, যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাত সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রমাণিত হলে তারা যে কেউ হোক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফজলুর রহমান জানান, সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

news24bd.tv/তৌহিদ