ঘূর্ণিঝড় মোখা নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাড়তি সতর্কতা

সংগৃহীত ছবি

ঘূর্ণিঝড় মোখা নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাড়তি সতর্কতা

অনলাইন ডেস্ক

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পগুলোতে সাড়ে তিন হাজার ভলেন্টিয়ার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে ভূমিধস ও বন্যায় প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা রোহিঙ্গাদের।  

বৃহস্পতিবার (১১ মে) ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের (আরআরআরসি) কার্যালয়ে প্রস্তুতিমূলক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ের পরিস্থিতি বিষয়ে একটি প্রস্তুতিমূলক সভা করা হয়েছে। সভায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার সব ধরনের প্রস্তুতির সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে ক্যাম্পগুলোতে প্রায় সাড়ে তিন হাজার স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ক্যাম্পে স্কুল, ও মসজিদ-মাদ্রাসাসহ মজবুত সেন্টারগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের (আরআরআরসি) কার্যালয় জানায়, ক্যাম্পে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, রেডক্রস, মেডিক্যাল টিম, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, দমকল বাহিনী, বিভিন্ন দাতা সংস্থার কর্মীসহ রোহিঙ্গা স্বেচ্ছাসেবীরাও দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে। এ ছাড়া ক্যাম্পে মাইকিং করে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে। দুর্যোগকালীন সময়ের জন্য নগদ অর্থ ও শুকনো খাবার প্রস্তুত রয়েছে। ’     

টেকনাফ লেদা রোহিঙ্গা শিবিরের ডেভেলমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় বিষয়ে ক্যাম্পের সবাইকে সতর্ক করা হচ্ছে। এ ছাড়া পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসতিদের নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। বিশেষ করে অন্তঃসত্ত্বা নারী ও শিশুদের পাশের স্কুল এবং খাদ্য বিতরণ সেন্টারে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। ’ 

উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মো. হোসাই জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত আনতে পারে এমন আশঙ্কার খবর ক্যাম্পে প্রচার করা হচ্ছে। ক্যাম্প পাহাড়ের তীরে ও ঝুপড়ি ঘর হওয়ায় তাদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।  

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘স্থানীয়দের পাশাপাশি রোহিঙ্গা শরণার্থীদেরও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পের ভেতরের মসজিদ, লার্নিং সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া দুর্যোগ অবহেলা না করে ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে নিরাপদ স্থানে থাকার জন্য নানাভাবে প্রচার চালানো হচ্ছে। ’