অধিনায়ক তামিমের ফিফটি এবং মুশফিক, মিরাজ, লিটন ও শান্ত চারটি মাঝারি মানের ইনিংসের পরও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে আশানুরূপ স্কোর গড়তে পারেনি বাংলাদেশ দল। টস হেরে আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষ হওয়ার আগেই স্কোরবোর্ডে ২৭৪ রান তুলতেই অলআউট হয়েছে সফরকারীরা।
চেলমসফোর্ডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশের পক্ষে অভিষেক হয় দুই ক্রিকেটারের। রনি তালুকদার ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী চোটে পড়া সাকিব আল হাসানের হাত থেকে নেন অভিষেক ক্যাপ।
টি২০ ফরম্যাটে দারুণ ফর্মে থাকলেও, ওয়ানডেতে তা টেনে আনতে পারেননি রনি। প্রথম ১২ বলে কোনো রান নিতে না পারা এই ওপেনার ১৩তম বলে মার্ক অ্যাডায়ার চার মেরে পরের বলেই বাজে শট খেলে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে থাকা লরকান টাকারকে।
দলীয় ১৮ রানে রনি ফিরলে আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব নেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। শান্ত আজও খেলছিলেন দারুণ।
আঙুলের চোটে দল থেকে ছিটকে পড়া সাকিবের জায়গায় আজ চারে নামেন লিটন দাস। অভিজ্ঞ তামিমের সঙ্গে তার জুটিও জমে উঠেছিল। এ জুটিতে পেরোয় পঞ্চাশ রানের গণ্ডিও। তামিম একটু গুটিয়ে ছিলেন বলে, অপরপ্রান্তে মারা চেষ্টা করছিলেন লিটন। সেটাই কাল হয় তার জন্য। বালবার্নিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড-অফে ধরা পড়েন তিনি। লিটনও ফেরেন ৩৫ রান করে।
তিন সঙ্গীকে হারানোর পর ফিফটির দেখা পান তামিম। ৬১ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫৬তম ফিফটি তুলে নেন তিনি। ১০ ইনিংসে প্রথম ফিফটির পর তামিম খোলস থেকে বের হওয়ার আগেই দল আবার পড়ে চাপে। পরের ওভারেই জর্জ ডকরেলের ভেতরে ঢোকা বল সময় নিয়ে মারতে গিয়ে বোল্ড হন তাওহীদ হৃদয়। আগের ম্যাচে ফিফটি করা এই তরুণ ব্যাটার করেন ১৩ রান।
হৃদয় ফেরার পর উইকেটে বেশিক্ষণ টেকেননি তামিমও। রানের গতি বাড়াতে গিয়ে তিনিও উইকেট দেন ডকরেলকে। ফেরার আগে ৬৯ রান করেন তিনি। ছয়ে আসা মুশফিকুর রহিম এরপর মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে বড় সংগ্রহের পথেই নিয়ে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশকে। তবে ৪৬তম ওভারে অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনকে একটি ছক্কা হাঁকানোর পর আবারও একই শট খেলতে গিয়ে এলবিডব্লু হন তিনি। ৪৫ রান করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাকে।
ষষ্ঠ উইকেটে মুশফিক-মিরাজের ৭৫ রানের দারুণ জুটি ভাঙতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের লোয়ার মিডল অর্ডার। ২১ বলের ব্যবধানে শেষ ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মুশফিক ফিরতেই দারুণ ব্যাটিং করতে থাকা মিরাজ অ্যাডায়ারের বলে ৩৭ রান করে আউট হন। পরে হাসান মাহমুদ ১ রান করে রানআউট হওয়ার পর মোস্তাফিজুর রহমান (০) এবং মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর (৮) উইকেটও তুলে নেন অ্যাডায়ার। ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন এই পেসার।
news24bd.tv/SHS