শেরপুরে কলেজ অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে এলাকাবাসীর পদযাত্রা
শেরপুরে কলেজ অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে এলাকাবাসীর পদযাত্রা

শেরপুরে কলেজ অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে এলাকাবাসীর পদযাত্রা

শেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুরের জমশেদ আলী মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বাক্ষর জালিয়াতি, নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অভিযোগ তুলে তার অপসারণ এবং কলেজ গভর্নিং বডির সদ্য নিয়োগকৃত সভাপতির পদত্যাগের দাবিতে এবার পদযাত্রা করেছে এলাকাবাসী।  

রোববার (১৪ মে) বিকেল ৫টায় জমশেদ আলী মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজ দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি ও সচেতন এলাকাবাসীর ব্যানারে ওই পদযাত্রার আয়োজন করা হয়। কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও কলেজ গভর্নিং বডির সাবেক সভাপতি মিনহাজ উদ্দিন মিনালের নেতৃত্বে সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের কুসুমহাটি বাজার থেকে ওই পদযাত্রা শুরু হয়ে পোড়ারদোকান ডাইভারশন এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।

পদযাত্রায় অন্যান্যের মধ্যে জমশেদ আলী মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজ দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির আহবায়ক আব্দুস সাত্তার মাস্টার, সদস্য সচিব নাসির উদ্দিন সুজা, নীহারিকা অটো রাইস মিলের স্বত্বাধিকারী আবুল কালাম আজাদ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রণজিৎ চন্দ্র দে, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল করিম মিস্টার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. সুরুজ্জামান, আব্দুল মালেক, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদসহ প্রায় তিনশত অভিভাবক ও এলাকাবাসী অংশ নেন।

পরে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে কলেজ গভর্নিং বডির সাবেক সভাপতি মিনহাজ উদ্দিন মিনাল বলেন, এলাকায় শিক্ষার হার বাড়াতে ২০০১ সালে লছমনপুর ইউনিয়নের কুসুমহাটি এলাকায় তিনি তার বাবার নামে জমশেদ আলী মেমোরিয়াল কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। কলেজটি পর্যায়ক্রমে ডিগ্রি ও অনার্সে উন্নীত হয়। কিন্তু বর্তমানে কলেজের অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম রেজার স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে কলেজটি ধ্বংসের পথে।

অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম রেজা কলেজের সাবেক সভাপতি মিনালের স্বাক্ষর জাল করে কলেজের ৪০ এর অধিক শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

ভর্তি বাণিজ্য করে এবং ফরম ফিলাপের সময় নির্ধারিত ফি’র চেয়েও অধিক অর্থ নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছেন। ব্যাংক হিসাবে লেনদেন না করে কলেজের অভ্যন্তরীণ আয়ের লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

এছাড়া নিজের অপকর্ম যাতে প্রকাশ না পায় সেজন্য অন্য এলাকার বাসিন্দা ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছানুয়ার হোসেন ছানুকে সভাপতি বানিয়েছেন। বর্তমানের কলেজের পড়ালেখার মানও খারাপ হয়ে গেছে। পূর্বে কলেজের পাশের হার ছিল ৯৬%। ২০২২ সালে তা নেমে দাঁড়ায় ২৩%। কলেজের সুনাম ফিরিয়ে আনতে বর্তমান অধ্যক্ষের অপসারণের কোন বিকল্প নেই।

তিনি আরও বলেন, আমরা গত ৩ মে মানববন্ধন করার পর প্রশাসন ৭ দিনের মধ্যে অধ্যক্ষের অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও বাস্তবে তার কিছুই হয়নি। তাই আমরা এখন থেকে ধারাবাহিকভাবে কর্মসূচি পালন করে যাবো।

এদিকে, সকল অভিযোগ অস্বীকার করে কলেজ অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম রেজা বলেন, ২০১৮ সালে সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর থেকেই মিনহাজ উদ্দিন মিনাল কলেজের বিভিন্ন শিক্ষক-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মনগড়া অভিযোগ করে আসছেন। যা সত্য নয়। কলেজের সবকিছু নিয়ম মেনেই চলছে।

news24bd.tv/FA

এই রকম আরও টপিক