রুদ্ধশ্বাস জয়ে সিরিজ বাংলাদেশের

সংগৃহীত ছবি

রুদ্ধশ্বাস জয়ে সিরিজ বাংলাদেশের

অনলাইন ডেস্ক

শ্বাসরুদ্ধকর এক লড়াই শেষে আয়ারল্যান্ডকে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে হারালো বাংলাদেশ। আজ রোববার চেলমসফোর্ডে শেষ ওভারে যাওয়া ম্যাচে আইরিশদের ৪ রানে হারিয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নিলো টাইগাররা।

বৃষ্টির কারণে প্রথম ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার পর চেলমসফোর্ডেই দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আয়ারল্যান্ডের দেওয়া ৩২০ রান তাড়া করে জিতে সিরিজে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। শেষ ওয়ানডে জিতলে সিরিজ নিশ্চিত, এমন সমীকরণ মেলানোর ম্যাচে একটা সময় হারের মুখ থেকে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে এ জয় তুলে নিলো তামিম ইকবালের দল।

টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যাটারদের ফিনিশিং ব্যর্থতায় ২৭৪ রানেই অলআউট হয় বাংলাদেশ। জবাবে শুরুতে স্টেফেন ডোহেনিকে হারালেও পল স্টার্লিং ও অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবির্নি শক্ত অবস্থানে নিয়ে যায় আইরিশদের। পরে হ্যারি টেক্টর ও লরকান টাকারের ব্যাটে জয়ই দেখছিল স্বাগতিকরা। তবে মুস্তাফিজুর রহমানের দুর্দান্ত বোলিং এবং ডেথ ওভারে বাকিদের অনন্য পারফরম্যান্সে জয় থেকে ৪ রান দূরে থাকতেই থামতে হয় আইরিশদের।

চেলমসফোর্ডের কাউন্টি গ্রাউন্ডে রান তাড়ায় নেমে দলীয় ১৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। দলে ফেরা মুস্তাফিজের বলে স্লিপে লিটনের হাতে ক্যাচ দেন ৪ রান করা ডোহেনি। শুরুর সেই ধাক্কা দারুণভাবে সামাল দেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার স্টার্লিং ও বালবির্নি। দুজনে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে স্কোরবোর্ডে জুড়ে দেন ১০৯ রান। দুর্দান্ত সেই জুটি ভাঙেন এবাদত হোসেন। তাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে রনি তালুকদারের ক্যাচ হন বালবির্নি। ৫৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন আইরিশ অধিনায়ক।

বালবির্নি ফেরার পর বেশিক্ষণ উইকেটে টেকেননি স্টার্লিংও। তিনি মারতে গিয়ে উইকেট দেন নিজের। মিরাজের বলে থার্ড ম্যানে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর দারুণ এক ক্যাচে পরিণত হন তিনি। দলীয় সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন তিনি।

স্টার্লিং-বালবির্নি ফেরার পর বাংলাদেশ ছিল চাপেই। সেই চাপে তৈরি করেন টেক্টর-টাকার। তাদের জুটিই আইরিশদের জয়ের প্রায় কাছাকাছি নিয়ে গিয়েছিল। তবে তামিম ইকবালের এক সিদ্ধান্তই ঘুরিয়ে দেয় ম্যাচের মোড়। ৪২তম ওভারে তিনি বল তুলে দেন নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে। পার্টটাইমার হয়েও নিজের ওভারেই ব্রেক থ্রু এনে দেন শান্ত। ফেরান ৪৫ রান করা টেক্টরকে।

এরপর বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরানোর কৃতিত্ব নিজেকে হারিয়ে খোঁজা ফিজের। একে একে তিনি ফেরান কার্টিস ক্যাম্ফার (১), জর্জ ডকরেল (৩) এবং বিপদজনক হয়ে ওঠা টাকারকে (৫০)। ম্যাচের শেষ দিকে রান দেওয়ায় তার কিপটেমি তো ছিলই, সঙ্গে দুর্দান্ত বোলিংয়ে এ তিন ব্যাটারকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের হাতে ম্যাচ নিয়ে আসেন এই বাঁহাতি পেসার।

শেষদিকে, মার্ক অ্যাডায়ার মনে ভয় ধরিয়েছিলেন বটে, তবে হাসান মাহমুদের চৌকশ বোলিংয়ে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। শেষ ওভারে জয়ের জন্য আইরিশদের দরকার ছিল ১০ রান। তবে হাসান দেন মাত্র ৫ রান। উল্টো নেন দুটি উইকেট। ভয়ঙ্কর অ্যাডায়ারকে (১০ বলে ২০) ফেরানোর পর ৪ রান করা অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনের উইকেটও তুলে নেন তিনি।

দলে ফিরেই দুর্দান্ত বোলিংয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছে মুস্তাফিজুর রহমান। ১০ ওভারে ৪৪ রানে ৪ উইকেট নেন তিনি। সিরিজ সেরা হয়েছেন গত ম্যাচে প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি পাওয়া নাজমুল হোসেন শান্ত।

news24bd.tv/SHS