আসলেই কি নিরাপত্তা কমেছে বিদেশি কূটনীতিকদের?

ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান ও ভারতীয় দূতাবাস

নিউজ টোয়েন্টিফোরের বিশ্লেষণ

আসলেই কি নিরাপত্তা কমেছে বিদেশি কূটনীতিকদের?

অনলাইন ডেস্ক

হোলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলায় ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ ২২ জন নিহতের ঘটনার পর রাজধানীর গুলশান এলাকায় দূতাবাসগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে সরকার। যেকোনো ধরনের সন্ত্রাসী হামলা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করলে তা ওই দেশের আর্থ-সামাজিক ও বাণিজ্যের ওপর নেতিচাবক প্রভাব পড়ে—এসব কথা বিবেচনায় নিয়ে নিজ উদ্যোগে সরকারের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, ভারত, সৌদি আরব, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানসহ বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতের চলাচলের সময় পুলিশের নিরাপত্তা দেওয়া হয়। কিন্তু সরকার এখন ভাবছে, দূতাবাসগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তার দরকার নেই। এ জন্য বাড়তি নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

তবে কোনো দেশের দূতাবাস যদি মনে করে, তাদের বাড়তি নিরাপত্তা দরকার, তবে সে জন্য তাদের অর্থ খরচ করতে হবে।  

সরকার মনে করছে দেশে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন ভালো। তাই বাড়তি নিরাপত্তা নয়; বরং আনসার নিয়ে গঠিত নতুন আর্মড রেজিমেন্ট দিয়ে নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

তবে বাড়তি নিরাপত্তা প্রত্যাহারের পর থেকে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে নানা মহলে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত জন্ম দিয়েছে কিছু প্রশ্নেরও।   

এক. দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে কি না?

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, ভারত, সৌদি আরব, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের দূতাবাসগুলো থেকে বাড়তি নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। বাংলাদেশের আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যের বেশির ভাগই হয়ে থাকে এই দেশগুলোর সঙ্গে। হঠাৎ করে বাড়তি নিরাপত্তার ইস্যু দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তবে এ প্রশ্নের কিছুটা উত্তর পাওয়া গেছে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের বক্তব্যে।  

মঙ্গলবার (১৬ মে) রাজধানীতে ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে সাংবাদিকদের এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘কূটনীতিকদের বাড়তি নিরাপত্তা প্রত্যাহারে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কি প্রভাব না পড়ার ক্ষেত্রে পররাষ্ট্র সচিব যুক্তি দেখান, ভিয়েনা কনভেনশন অনুসারে যেকোনো দেশকে অবশ্যই সব কূটনৈতিক মিশন প্রাঙ্গণ ও এর কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হয়। কর্মীদের ওপর কোনো আক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য কার্যকর সব পদক্ষেপ নিতে হয়। ভিয়েনা কনভেশনে যে বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়েছে স্বাগতিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ অবশ্যই সেগুলোর প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং মেনে চলবে। ’ 

সম্পর্ক স্বাভাবিক থাকার পক্ষে তিনি আরও যুক্তি দেখান যে, যেসব পুলিশ প্রত্যাহার করা হয়েছে, তারা মূলত  ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্সের কাজটাই করতো। কূটনীতিকদের আসল নিরাপত্তার বিষয়টা অপরিবর্তীত আছে। নিরাপত্তার দিকে থেকে আমরা অন্তত ঘাটতি দেখতে পাচ্ছি না। তাছাড়া ঢাকা শহর বা বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত রয়েছে বলে মনে করেন মাসুদ বিন মোমেন।  

দুই. রাষ্ট্রগুলো নিরাপত্তার জন্য চাপ দেবে কি না?

সাধারণত কূটনীতিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে ভিয়েনা কনভেনশন মেনে চলে রাষ্ট্রগুলো। কূটনীতিকদের আচরণ বিষয়ে ১৯৬১ সালে করা ওই চুক্তিতে বিভিন্ন দেশ সই করেছিল। মোট ৫৩টি আর্টিকেল বা ধারা রয়েছে এতে। এর ১২ নং ধারায় বলা হয়েছে, কূটনীতিকদের নিরাপত্তা দেবে স্বাগতিক দেশ। সাধারণত নিরাপত্তার বিষয়ে দেশগুলো ভিয়েনা কনভেনশন মেনে চলে।  

এ বিষয়ে গত সোমবার (১৫ মে) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপপ্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল সংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘আমি উল্লেখ করতে চাই, কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিয়েনা কনভেনশন অনুসারে যেকোনো দেশকে অবশ্যই সব কূটনৈতিক মিশন প্রাঙ্গণ ও এর কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বাধ্যবাধকতাগুলো মেনে চলতে হবে এবং কর্মীদের ওপর কোনো আক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য কার্যকর সব পদক্ষেপ নিতে হবে। আমাদের কূটনৈতিক কর্মী এবং স্থাপনার নিরাপত্তা ও সুরক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ’

তবে ওই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুত্বের সম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ করেন বেদান্ত প্যাটেল। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র  কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করেছে। আমরা যে সম্পর্কের জন্য অপেক্ষা করছি, তা হলো রাজনৈতিক দল বা প্রার্থী নির্বিশেষে সেই সম্পর্ককে আরও গভীর করা এবং বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতাকে আরও দৃঢ় করা। বিশ্বজুড়ে যেকোনো নির্বাচনে আমাদের প্রত্যাশা হলো–নির্বাচন অবাধ এবং সুষ্ঠু হবে। তবে এর বাইরে রাজনৈতিক দল বা প্রার্থী বা এই জাতীয় কিছুর ক্ষেত্রে অন্তর্দৃষ্টি দেওয়ার মতো আর কিছুই নেই। ’

তিন. কূটনীতিকদের নিরাপত্তায় বিকল্প কী ভাবছে সরকার?

কূটনীতিকদের বাড়তি নিরাপত্তা প্রত্যাহারের পর এই ইস্যুতে নানা প্রশ্নের মুখে পড়ছে সরকার। কীভাবে এই বাড়তি নিরাপত্তা কূটনীতিকরা অব্যাহত রাখতে পারে সে বিষয়েও সরকার চিন্তা করছে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন মঙ্গলবার (১৬ মে) গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সরকারি খরচে (জনগণের করের টাকায়) বিদেশি কোনো রাষ্ট্রদূতকে বাড়তি নিরাপত্তা (এসকর্ট) দেওয়া হবে না। কারণ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আমাদের দেশে অনেক ভালো আছে। তা ছাড়া কোনো দেশেই বাংলাদেশের কোনো রাষ্ট্রদূতকে বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়া হয় না। তবে তারা টাকা দিয়ে এটা নিতে পারে। ’ 

বুধবার (১৭ মে) সচিবালয়ে একই ধরনের বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, ‘অর্থের বিনিময়ে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ৬ দেশের রাষ্ট্রদূত সড়কে অতিরিক্ত নিরাপত্তা নিতে পারবেন। ’ 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের যখন জঙ্গি উত্থান হয়েছিল, তখন চারটি দূতাবাসকে আমরা রুট প্রটেকশনটা দিতাম। এটা কিন্তু লিখিতভাবে আমাদের দেওয়া হয়নি, কিংবা তারাও আমাদের অনুরোধ করেননি। আমরাই তাদের দিয়েছিলাম, যাতে করে তারা কোনোভাবেই অসুবিধায় না পড়েন। এই চারটির বাইরে আমরা কাউকেই দেইনি। আমরা মনে করি, সেই পরিস্থিতি এখন আর নেই। তারপরও যদি কোনো রাষ্ট্রদূত মনে করেন, তাদের প্রয়োজন হবে, তাহলে নতুন করে আমরা যে আনসার গার্ড রেজিমেন্ট তৈরি করেছি, সেই গার্ড রেজিমেন্টই এই প্রটেকশনের দায়িত্বে থাকবে। তবে এটার জন্য টাকা দিতে হবে। ’ 

চার. কী ধরনের সুবিধা পাচ্ছে দূতাবাসগুলো?

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, ভারত, সৌদি আরব, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের দূতাবাসের বাড়তি নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হলেও বেশি আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস। বিশ্বের অন্য কোনো দেশ যেখানে বাড়তি নিরাপত্তা দেয় না, সেখানে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকার পরও এ সুবিধা কেন দেবে—এমন আলোচনা সামনে এসেছে। যদিও বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোর স্বাভাবিক নিরাপত্তার বিষয়টি অব্যাহত রেখেছে।  

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখ্য উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেছেন, ভিয়েনা কনভেনশন অনুসারে যেকোনো স্বাগতিক দেশ সব কূটনৈতিক মিশন এবং তাদের কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বাধ্য থাকবে।  এরই প্রেক্ষিতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম মঙ্গলবার (১৬ মে) একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে  বলেন, ‘ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্সের ক্ষেত্রে বাড়তি নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হলেও যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সার্বিক নিরাপত্তা প্রদান করা হচ্ছে। ’ 

সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে নিয়োজিত রয়েছেন ১৫৬ পুলিশ সদস্য। এছাড়া ব্রিটিশ হাইকমিশনে ২৭ জন, ভারতীয় হাইকমিশনে ৫৮ জন ও সৌদি আরব দূতাবাসে ৫৬ জন পুলিশ সদস্য নিয়োজিত আছেন। যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এবং দূতাবাস সংশ্লিষ্ট স্থাপনায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ৩৯ জন নিয়োজিত আছেন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে। এছাড়া মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে ১৫ জন, যুক্তরাষ্ট্র ক্লাবে ১২ জন, যুক্তরাষ্ট্র গ্যারেজ এনেক্স ভবনে ২১ জন, যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি চিফ অব মিশনের বাসভবনে ৬ জন ও যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কর্মকর্তাদের বাসভবনগুলোতে ৩৯ জন পুলিশ সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন।

ঢাকায় থাকা ফ্রান্স দূতাবাসে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন ডিএমপির ২২ সদস্য। এছাড়া জার্মান দূতাবাসে ১৫ জন, দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাসে ৬ জন, থাইল্যান্ড দূতাবাসে ১২ জন, সংযুক্ত আরব আমিরাত দূতাবাসে ১৮ জন, রাশিয়া দূতাবাসে ৩৩ জন, চীন দূতাবাসে ২৪ জন, অস্ট্রেলিয়া দূতাবাসে ১৫ জন, ফিলিপাইন দূতাবাসে ৩ জন, আলজেরিয়া দূতাবাসে ৬ জন, আফগানিস্থান দূতাবাসে ৩ জন, পাকিস্তান হাইকমিশনে ১২ জন, মরক্কো দূতাবাসে ৩ জন, ব্রুনাই দূতাবাসে ৬ জন, মালদ্বীপ দূতাবাসে ৬ জন, মিয়ানমার দূতাবাসে ১২ জন, মালয়েশিয়া দূতাবাসে ৯ জন, লিবিয়া দূতাবাসে ৬ জন, ফিলিস্তিন দূতাবাসে ৬ জন, তুরস্ক দূতাবাসে ৬ জন, নেপাল দূতাবাসে ৩ জন, ভ্যাটিকান সিটি দূতাবাসে ৩ জন, সুইজারল্যান্ড দূতাবাসে ৩ জন, ইন্দোনেশিয়া দূতাবাসে ১২ জন, শ্রীলঙ্কা হাইকমিশনে ৬ জন, নরওয়ে দূতাবাসে ৯ জন ও ভুটান দূতাবাসে ৯ জন ডিএমপির সদস্য নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন।

এছাড়াও কানাডা হাইকমিশনে দায়িত্ব পালন করছেন ১২ জন, ডেনমার্ক দূতাবাসে ১২ জন, ইতালি দূতাবাসে ১১ জন, ইউরোপীয় ইউনিয়নে ১২ জন, কুয়েত দূতাবাসে ৯ জন, স্পেন দূতাবাসে ৬ জন, মিশর দূতাবাসে ৯ জন, কাতার দূতাবাসে ৩ জন, উত্তর কোরিয়া দূতাবাসে ৬ জন, কসোভো দূতাবাসে ৬ জন, ওমান দূতাবাসে ৩ জন, সিঙ্গাপুর দূতাবাসে ৩ জন, ইরান দূতাবাসে ১৬ জন, ইরাক দূতাবাসে ৬ জন, জাপান দূতাবাসে ২১ জন, নেদারল্যান্ডস দূতাবাসে ১৫ জন, ভিয়েতনাম দূতাবাসে ৬ জন, ব্রাজিল দূতাবাসে ৩ জন ও সুইডেন দূতাবাসে নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন ৩ জন পুলিশ সদস্য।

পাঁচ. জঙ্গিরা কি সুযোগ নিতে পারে?

২০১৬ সালের ১ জুলাই হোলি আর্টিজান হামলার পর বাংলাদেশে আর বড় ধরনের জঙ্গি হামলা হয়নি। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও দেশব্যাপী অভিযান চালিয়ে তা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, দেশে জঙ্গিবাদ এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে সাধারণত ধর্মের অপব্যবহার করে নাশকতাকারী এসব জঙ্গিরা সুযোগের সন্ধানে থাকে। দূতাবাসে নিরাপত্তা প্রত্যাহারের এই আলোচনার মধ্যে কোনো হামলা বা নাশকতা করে আলোচনায় আসার চেষ্টা করতে পারে। পাশাপাশি বহির্বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করতে পারে। সুতরাং এ ব্যাপারে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্ক থাকা দরকার।

news24bd.tv/আইএএম