বনানীর ইউলুপে দুর্ঘটনায় নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় হাইকোর্টের এক বিচারপতির ছেলেকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অব্যাহতির এ আদেশ দেন।
জানা যায়, ২০২১ সালের ৩ ডিসেম্বর রাত ২ টা ১৮ মিনিটে মোটরসাইকেল নিয়ে বনানীর ইউলুপে দাঁড়িয়েছিলেন মনোরঞ্জন হাজং। এ সময় প্রাইভেটকারের চাপায় মারাত্মক আহত হন তিনি।
ঘটনার ১৩ দিন পর মামলা হয়।
রায়ে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ঘটনার সময় মনোরঞ্জন হাজং উল্টো দিক থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে আসছিলেন। সড়ক পরিবহন আইনের ৪৯ এর ঘ ধারা ভেঙেছেন তিনি। আর আসামি সঠিক লেন মেনে গাড়ি চালাচ্ছিলেন।
রায়ে আরও বলা হয়, আসামি সাঈদ হাসান অস্বাভাবিক বা অপ্রকৃতিস্থ ছিলেন- এমন তথ্য প্রমাণ অভিযোগপত্রে উল্লেখ নেই। ওভারটেকিং বা ওভারলোডিং বা নিয়ন্ত্রণহীনভাবে গাড়ি চালিয়েছিলেন এমন তথ্য প্রমাণও নেই প্রসিকিউশনের কাছে। ঘটনার সময় আসামির স্ত্রী ও বন্ধুসহ গাড়ি চলছিল, কাজেই সাঈদ হাসান অপ্রকৃতিস্থ হয়ে গাড়ি চালানোর কারণও নেই।
সার্বিক পর্যালোচনায় আদালত বলেন, মনোরঞ্জন হাজং সড়ক পরিবহন আইনের ৪৯ এর ঘ ধারা ভাঙার কারণেই এ দুর্ঘটনা। বেআইনিভাবে কোনো কাজ করতে গিয়ে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হন, তবে তিনি প্রতিকার পাওয়ার হকদার নন। আর তাই আসামি সাঈদ হাসানকে খালাস দেওয়া হলো।
news24bd.tv/আইএএম