বনানী ইউলুপে দুর্ঘটনা: মামলা থেকে বিচারপতির ছেলেকে অব্যাহতি

সংগৃহীত ছবি

বনানী ইউলুপে দুর্ঘটনা: মামলা থেকে বিচারপতির ছেলেকে অব্যাহতি

অনলাইন ডেস্ক

বনানীর ইউলুপে দুর্ঘটনায় নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় হাইকোর্টের এক বিচারপতির ছেলেকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অব্যাহতির এ আদেশ দেন।  

জানা যায়, ২০২১ সালের ৩ ডিসেম্বর রাত ২ টা ১৮ মিনিটে মোটরসাইকেল নিয়ে বনানীর ইউলুপে দাঁড়িয়েছিলেন মনোরঞ্জন হাজং। এ সময় প্রাইভেটকারের চাপায় মারাত্মক আহত হন তিনি।

হাসপাতালে নেওয়ার পর প্রথমে তার ডান পায়ের গোড়ালি, পরে হাটু পর্যন্ত কেটে ফেলা হয়। এ ঘটনা সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করে। কেননা কারণ গাড়িটি চালাচ্ছিলেন হাইকোর্টের এক বিচারপতির ছেলে।

ঘটনার ১৩ দিন পর মামলা হয়।

ঘটনার সময় ভাইরাল হলেও, এরপর মামলার খোঁজ রাখেনি কেউ। গত বছর ৮ নভেম্বর মামলায় অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এ বছর মে মাসে মামলার প্রধান আসামি সাঈদ হাসানকে অব্যাহতি দেওয়ার আদেশের কপি পাওয়া যায়।

রায়ে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ঘটনার সময় মনোরঞ্জন হাজং উল্টো দিক থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে আসছিলেন। সড়ক পরিবহন আইনের ৪৯ এর ঘ ধারা ভেঙেছেন তিনি। আর আসামি সঠিক লেন মেনে গাড়ি চালাচ্ছিলেন।

রায়ে আরও বলা হয়, আসামি সাঈদ হাসান অস্বাভাবিক বা অপ্রকৃতিস্থ ছিলেন- এমন তথ্য প্রমাণ অভিযোগপত্রে উল্লেখ নেই। ওভারটেকিং বা ওভারলোডিং বা নিয়ন্ত্রণহীনভাবে গাড়ি চালিয়েছিলেন এমন তথ্য প্রমাণও নেই প্রসিকিউশনের কাছে। ঘটনার সময় আসামির স্ত্রী ও বন্ধুসহ গাড়ি চলছিল, কাজেই সাঈদ হাসান অপ্রকৃতিস্থ হয়ে গাড়ি চালানোর কারণও নেই।

সার্বিক পর্যালোচনায় আদালত বলেন, মনোরঞ্জন হাজং সড়ক পরিবহন আইনের ৪৯ এর ঘ ধারা ভাঙার কারণেই এ দুর্ঘটনা। বেআইনিভাবে কোনো কাজ করতে গিয়ে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হন, তবে তিনি প্রতিকার পাওয়ার হকদার নন। আর তাই আসামি সাঈদ হাসানকে খালাস দেওয়া হলো।

news24bd.tv/আইএএম

এই রকম আরও টপিক