দুর্নীতির অভিযোগসংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ ও ব্যাখ্যা প্রস্তুত করতে এক মাস সময় চেয়েছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা তলবি নোটিসে দুদকে হাজির হতে তিনি এই সময় চেয়ে আবেদন করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) সকালে জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষ থেকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সময় চেয়ে করা ওই আবেদন পাঠানো হয়। দুদকের তদন্তসংশ্লিষ্ট এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে সোমবার (১৫ মে) জাহাঙ্গীর আলমকে দুটি পৃথক নোটিসে আগামী ২১ ও ২২ মে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত থেকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
দুদকের কাছে সময় চেয়ে করা আবেদনে জাহাঙ্গীর আলম লেখেন, ‘১৬ মে (মঙ্গলবার) ২০২৩ তারিখে আপনার স্বাক্ষরিত দুটি নোটিস গ্রহণ করি। নোটিসে আগামী ২১ মে তারিখে সকাল ১০টায় সংশ্লিষ্ট অভিযোগের ব্যাপারে আমার বক্তব্য প্রদানের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যালয়ে উপস্থিত হতে অনুরোধ করা হয়। এত সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে অভিযোগসংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংগ্রহ করে যথাযথ প্রস্তুতি সাপেক্ষে আমার ওপর আনা অভিযোগের ব্যাপারে সশরীরে উপস্থিত হয়ে জবাব দাখিল বা বক্তব্য প্রদান আমার পক্ষে প্রায় অসম্ভব ব্যাপার।
ওই আবেদনে তিনি আরও লেখেন, ‘অভিযোগসংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংগ্রহ এবং সংশ্লিষ্ট অভিযোগের ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আমার বক্তব্য প্রদানের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যালয়ে উপস্থিত হতে এক মাস সময় প্রদান করে শুনানির জন্য পুনরায় তারিখ নির্ধারণ পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। ’
১৬ মে দুদক থেকে পাওয়া দুটি তলবি নোটিস গ্রহণ করেন জাহাঙ্গীর। এর আগে সোমবার দুদকের উপপরিচালক মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি তলবি নোটিস গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়রের ঠিকানায় পাঠানো হয়।
কমিশন আইনের ১৯ ও ২০ ধারামতে, ‘অভিযোগসংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বক্তব্য শ্রবণ ও গ্রহণ’ করার জন্য দেওয়া এই নোটিসে অভিযোগের সংক্ষিপ্ত বিবরণে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প থেকে অনিয়মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎসহ ভুয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুই সদস্যবিশিষ্ট একটি টিম গঠন করে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করেছে দুদক।
news24bd.tv/আইএএম
