চলতি মাসের শুরুতে ছিল প্রচণ্ড গরম। প্রথম সপ্তাহের পরও অব্যাহত ছিল এ গরম। দেশের কোথাও কোথাও বয়ে গেছে তাপপ্রবাহ। এরই মাঝে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয় লঘুচাপ।
পরে তা পরিণত হয় নিম্নচাপে। একপর্যায়ে সৃষ্টি হলো অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা। গত রোববার এ ঘূর্ণিঝড় কক্সবাজার উপকূল পার হওয়ার দুদিন পর থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয় বৃষ্টি।গতকাল বৃহস্পতিবারও দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল সন্ধ্যায় দেওয়া আবহাওয়ার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের ৪৪টি স্টেশনের সব কটিতেই কমবেশি বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে নেত্রকোনায়-৭৬ মিলিমিটার। এ ছাড়া সাতক্ষীরায় ৬৪ মিলিমিটার, মোংলায় ৫৬ মিলিমিটার, খুলনা ও খেপুপাড়ায় ৫০ মিলিমিটার করে বৃষ্টি হয়। সবচেয়ে কম বৃষ্টি হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলীতে-৪ মিলিমিটার।
গতকাল রাজধানীতেও ১৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে । এর আগের দিন বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ৫০ মিলিমিটার। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম বলেন, এখন পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাব আছে। এর একটি বর্ধিতাংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ বা এর কাছাকাছি এলাকায় রয়ে গেছে। এই লঘুচাপ জলীয়বাষ্পে পরিপূর্ণ। এর সঙ্গে মিলছে পুবালি বাতাস। দুইয়ের সংমিশ্রণে ঘটছে বৃষ্টি বা ঝোড়ো হাওয়া।