কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে পেঁয়াজ আমদানি থেকে বিরত থাকার কথা বলেছিল সরকার। দুদিনর আগে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছিলেন, ‘দাম না কমলে কৃষি মন্ত্রণালয় পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেবে। ’
মন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিলেও তার কোনো প্রভাব দেখা যায়নি বাজারে। সপ্তাহ দুয়েক আগেও ঢাকার খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ ছিল কেজিপ্রতি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা।
তিনি বলেছেন, ‘দু-একদিনের মধ্যে দাম না কমলে পেঁয়াজ আমদানি করবে সরকার। একইসঙ্গে চিনির দাম নির্ধারণ করে দিলেও বাজারে তার প্রভাব এখনো পড়েনি। সরকার নির্ধারিত দামে চিনি বিক্রি নিশ্চিত করতে ভোক্তা অধিকার কাজ করছে। ’
শুক্রবার রংপুর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে টিপু মুনশি বলেন, ‘কাঁচাবাজার আমার দায়িত্বে নেই। কাঁচাবাজারের সব কিছু আমরা নিয়ন্ত্রণ করি না, এর জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয় রয়েছে। তবে সব মিলিয়ে পরিস্থিতি খুব একটা খারাপ নয়। কাঁচাবাজার ওঠা-নামা করে, কখনো শাকসবজির দাম বাড়ে আবার কমে। ’
তিনি বলেন, ‘শুধু পেঁয়াজ ও চিনি নিয়ে একটু ঝামেলা চলছে। এটাও দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসবে। চিনির দাম বৈশ্বিকভাবে ওঠা-নামা করায় তার সুযোগ নিচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। তবে সরকার নির্ধারিত দাম বাস্তবায়নে চেষ্টা করছে। ’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ডলারের দাম বাড়ায় আমদানি করা পণ্যের দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে বৈশ্বিক বিবেচনায় আমরা ভালো আছি। পরিস্থিতি বিবেচনায় আমাদের তা সহ্য করতে হবে। বৈশ্বিক মন্দা মোকাবিলায় আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে। ’