জুনে চলবে মাওয়া-ভাঙ্গা অংশে যাত্রীবাহী ট্রেন 

সংগৃহীত ছবি

জুনে চলবে মাওয়া-ভাঙ্গা অংশে যাত্রীবাহী ট্রেন 

অনলাইন ডেস্ক

পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক ট্রেন সফলভাবে চালানোর পর এখন দ্রুতগতিতে চলছে পাথরবিহীন রেললাইন স্থাপনের চূড়ান্ত ধাপের কাজ। কর্তৃপক্ষ বলছে, আগামী জুনের মধ্যেই মাওয়া-ভাঙ্গা অংশে যাত্রীবাহী ট্রেন চালানো উপযোগী করা সম্ভব।

এর আগে গত ৪ এপ্রিল পদ্মা সেতু দিয়ে পরীক্ষামূলক চালানো হয় ট্রেন। সফলভাবে অতিক্রমের পর দ্রুত এগোচ্ছে চূড়ান্ত ধাপের কাজ।

জানা যায়, ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার পথে এখন পদ্মা সেতু। ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতির উপযোগী লাইনে লাগবে না কোনো জোড়া। তাই সেতুর স্লিপার ও স্টিলের ট্রেনলাইন যুক্ত করার ক্লিপ খুলে জোড়া যুক্ত করা হচ্ছে সূক্ষ্মভাবে। এ ছাড়া অত্যাধুনিক সিবিআই সিগনালিং সিস্টেম চালু করতে রেললাইনের পাশ দিয়ে স্থাপন করা হচ্ছে শক্তিশালী অপটিক্যাল ফাইবার।

কর্তৃপক্ষ বলছে, আগামী জুনের মধ্যেই মাওয়া-ভাঙ্গা অংশে যাত্রীবাহী ট্রেন চালানো উপযোগী করা সম্ভব হবে।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প ব্যবস্থাপক-১-এর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ জানান, গুণগত মান ও সুরক্ষাব্যবস্থা ঠিক রেখে কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে ট্রেন চলাচলে যাত্রীদের কোনো ধরনের অসুবিধা না হয়, সে বিষয়টি মাথা রেখে কাজ করা হচ্ছে।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প পরিচালক মো. আফজাল হোসেন জানান, ঢাকা থেকে ভাঙ্গা অংশে প্রায় ৮২ কিলোমিটার রেলপথের মধ্যে ৭২ কিলোমিটার রেলের কাজ শেষ হয়েছে। কাজের অগ্রগতি ৮৫ শতাংশ। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা অংশের সম্পূর্ণ রেললাইন স্থাপনের কাজ শেষ হবে।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় রেল লিংক প্রকল্পের অধীন ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পের ঠিকাদার চীনের চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (সিআরইসি)। এ প্রকল্পের কাজ তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।  

এগুলো হচ্ছে: ঢাকা-মাওয়া, মাওয়া থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা এবং ভাঙ্গা থেকে যশোর। এখন পর্যন্ত ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত পুরো প্রকল্পের অগ্রগতি ৭৯ শতাংশ। মাওয়া থেকে ভাঙ্গা অংশের অগ্রগতি সাড়ে ৯৩ শতাংশের বেশি।

news24bd.tv/কেআই