দুধ সংগ্রহ বন্ধ করার প্রায় ৭ মাস পর নাটোরের দুগ্ধ শীতলীকরণ কেন্দ্রের ফার্মকুলার ও জেনারেটর টাঙ্গাইলে স্থানান্তর করা হয়েছে। বিষয়টি জানার পর এলাকার খামারিরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। ৫ হাজার লিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ফার্মকুলার এবং জেনারেটরটি ট্রাকযোগে টাঙ্গাইলে পাঠানো হয়।
নাটোর দুগ্ধ শীতলীকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেকেন্দার আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০০২ সালে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের আওতায় নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার বাসুদেবপুরে এক একর জায়গার ওপর ৫ হাজার লিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন দুগ্ধ শীতলীকরণ কেন্দ্র চালু করা হয়। বর্তমানে শীতলীকরণ কেন্দ্রটি দুই একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত।
শীতলীকরণ কেন্দ্রটি চালু হওয়ার পর এলাকায় ৫০ থেকে ৬০টি সমিতির আওতায় দেড় শতাধিক খামার গড়ে ওঠে।
কিন্তু সেখানে দুধের দাম তুলনামূলকভাবে কম দেয়ার অভিযোগে খামারিরা দুধ সরবরাহ কমিয়ে দেন। ধীরে ধীরে খামারির সংখ্যা কমে ১৪টি সমিতির আওতায় একশতে নেমে আসে। উভয়পক্ষে টানাপোড়নের ধারাবাহিকতায় গেল ১৪ ফেব্রুয়ারি চাহিদা অনুযায়ী দুধ সরবরাহ না পাওয়ার কারণ উল্লেখ করে শীতলীকরণ কেন্দ্রে দুধ সংগ্রহ বন্ধ ঘোষণা করে কতৃপক্ষ।
এরপর স্থানীয় খামারিরা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় দুধ ঢেলে প্রতিবাদ-মিছিল করলেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। অবশেষে শীতলীকরণ কেন্দ্রের ফার্মকুলার ও জেনারেটরও টাঙ্গাইলে স্থানান্তর করা হলো।
নলডাঙ্গা উপজেলার বিপ্রবেলঘড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা খামারি প্রদীপ কুমার জানান, তার খামারে ৭টি গরু রয়েছে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দুধ সরবরাহ বন্ধ করলেও পুনরায় তা চালু করা হবে- এমন আশা থেকে বিভিন্ন চা দোকান,বাজার ও বাড়ি-বাড়ি দুধ বিক্রি করে কোনমতে খামারটি পরিচালনা করে আসছিলেন। কিন্তু শীতলীকরণ কেন্দ্রের ফার্মকুলার ও জেনারেটর স্থানান্তর হওয়ায় তারা হতাশা হয়ে পড়েছেন।
এ বিষয়ে নাটোর দুগ্ধ শীতলীকরণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেকেন্দার আলী জানান, গত ২২ সেপ্টম্বর মন্ত্রণালয়ের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন, অর্থ ও সমিতি) উপ-সচিব মনজুর কাদির স্বাক্ষরিত এক জরুরি তাগাদাপত্র পাওয়ার পর ফার্মকুলার মেশিন ও জেনারেটরটি টাঙ্গাইল দুগ্ধ শীতরীকরণ কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। একই সাথে তাকেও বাঘাচারঘাট কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজারের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
তিনি কেন্দ্রের নির্দেশনা পালন করেছেন মাত্র। দুগ্ধ শীতলীকরণ কেন্দ্রটি পুনরায় চালু করা বা না করার সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষের। এ ব্যাপারে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
নাসিম▐ অরিন▐ NEWS24