বিদেশি মদ হোম ডেলিভারি দেন মনির!

সংগৃহীত ছবি

বিদেশি মদ হোম ডেলিভারি দেন মনির!

অনলাইন ডেস্ক

দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর গুলশান ও বনানী এলাকায় অবৈধ বিদেশি মদ হোম ডেলিভারি দিয়ে আসছিলেন মো. মনির হোসেন (৩৮) নামের এক ব্যক্তি। বনানী থানা এলাকায় মনিরের পোশাক ও কসমেটিকসের দুটি দোকানে মজুত করা হতো এসব মদ। অবশেষে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) ঢাকা মেট্রো (উত্তর) এর অভিযানে গ্রেপ্তার হন মনির।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বনানীর কড়াইল বস্তির টিএন্ডটি কলোনির (এরশাদ মাঠ) কবরস্থান রোডস্থ মিম ফ্যাশন গ্যালারি নামের দোকানের ভেতর থেকে ৫৬ বোতল (প্রতি বোতল ১ লিটার করে) অবৈধ বিদেশি মদসহ মনিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অভিযানসংশ্লিষ্টরা জানান, গ্রেপ্তার মনির বিমানবন্দর ও বনানীকেন্দ্রিক অবৈধ বিদেশি মদ চোরাচালানকারী চক্রের অন্যতম হোতা। তার থেকে উদ্ধার হওয়া মদের মধ্যে রয়েছে সিভাস রিগাল হুইস্কি ২৮ বোতল, ট্রাভেলাস ক্লাব হুইস্কি ৮ বোতল, ব্ল্যাক লেবেল হুইস্কি ১৯ বোতল, ভ্যাট-৬৯ লেবেল হুইস্কি ১ বোতল।

ডিএনসির ঢাকা মেট্রো (উত্তর) এর গুলশান সার্কেলের পরিদর্শক মো. সুমনুর রহমান বলেন, 'গ্রেপ্তার মনিরের বিরুদ্ধে একাধিক মাদকের মামলা রয়েছে। সে কসমেটিকস ও কাপড়ের দোকানের আড়ালে অবৈধ বিদেশি মদের হোম ডেলিভারি দিয়ে আসছিল।

এ ঘটনায় ডিএমপির বনানী থানায় হওয়া মামলায় মনিরকে জেলে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার মনিরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মাদকের মামলা রয়েছে বলেও জানান সুমনুর রহমান।

ডিএনসি ঢাকা মেট্রো (উত্তর) এর সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী হাসান  জানান, মাদক কারবারি মনির হোসেন দীর্ঘদিন ধরে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ বিদেশি মদ সরবরাহ করে আসছিল বলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল। সে বিভিন্ন কৌশলে ব্যবসা পরিচালনা করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে বেশ কিছুদিন ধরে তার কার্যক্রম ও গতিবিধি মনিটরিং করা হচ্ছিল। সর্বশেষ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাছে তথ্য আসে, মনির বিমানবন্দরকেন্দ্রিক একটি চক্রের থেকে অবৈধ বিদেশি মদ সংগ্রহ করে গুলশান ও বনানীর বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করবে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মো. জাফরুল্ল্যাহ কাজল জানান, ক্রিস্টালমেথ/আইস, ইয়াবা, এলএসডি, ডিওবিসহ অন্যান্য ক্ষতিকর মাদকের পাশাপাশি অবৈধ বিদেশি মদ চোরাচালানের সাথে যারা জড়িত তাদের ওপর নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
news24bd.tv/aa