গিলের সেঞ্চুরিতে রানের রেকর্ড গড়ে ফাইনালে গুজরাট

গিলের সেঞ্চুরিতে রানের রেকর্ড গড়ে ফাইনালে গুজরাট

অনলাইন ডেস্ক

শুবমান গিলের সেঞ্চুরি ও মোহিত শর্মার ৫ উইকেটে ভর করে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে বড় ব্যবধানে হারাল গুজরাট টাইটান্স। এতে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা টানা দ্বিতীয়বারের মতো জায়গা করে নিল আইপিএলের ফাইনালে।

শুক্রবার আহমেদাবাদে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২৩৩ রান তোলে তারা। লক্ষ্য তাড়ায় ১০ বল বাকি থাকতে ১৭১ রানে অলআউট হয় রোহিত শর্মার মুম্বাই।

একই ভেন্যুতে আগামী রোববার অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা আইপিএলের এবারের আসরের ফাইনাল। সেখানে গুজরাট মুখোমুখি হবে চারবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংসের।

আসরের সর্বোচ্চ পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বাইয়ের বিপক্ষে গিল খেলেন ১২৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। মাত্র ৬০ বল মোকাবিলায় ২১৫ স্ট্রাইক রেটে তিনি মারেন ৭ চার ও ১০ ছক্কা।

অভিজ্ঞ মোহিত ৫ উইকেট নেন ১০ রান খরচায়। ইনিংসের ১৫তম ওভারে আক্রমণে গিয়ে মোটে ২.২ ওভার হাত ঘোরান তিনি।

পাওয়ার প্লেতেই বড় পুঁজির ভিত পেয়ে যায় গুজরাট। ৬ ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে ওঠে বিনা উইকেটে ৫০ রান। সপ্তম ওভারে পীযুষ চাওলার বলে ঋদ্ধিমান সাহা স্টাম্পড হলে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি।

তার আগের ওভারে ২৮ রানে আউট হতে পারতেন গিল, যদি মিড অনে ক্যাচ মুঠোয় জমাতে পারতেন টিম ডেভিড। জীবন পেয়ে সাই সুদর্শনের সঙ্গে বড় জুটিতে দলকে এগিয়ে নেন গিল। ফিফটি পূর্ণ করেন তিনি ৩২ বলে। এরপর তোলেন ঝড়। এলিমিনেটরে ৫ রানে ৫ উইকেট নেওয়া আকাশ মাধওয়ালের একই ওভারে মারেন তিনটি ছক্কা। পরের পঞ্চাশ করতে লাগে স্রেফ ১৭ বল! ৪৯ বলে পূর্ণ করেন টি-টোয়েন্টিতে নিজের পঞ্চম সেঞ্চুরি।

সপ্তদশ ওভারে ক্যাচ দিয়ে থামেন গিল। ভাঙে ৬৪ বলে ১৩৮ রানের জুটি। সুদর্শন রিটায়ার্ড আউট হয়ে ফেরেন ৩১ বলে ৪৩ রান করে। শেষ দিকে পান্ডিয়ার ১৩ বলে অপরাজিত ২৮ রানের ক্যামিওতে প্লে অফে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ে গুজরাট। ২০১৪ আসরে চেন্নাইয়ের বিপক্ষে তখনকার কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের ২২৬ ছিল আগের সেরা।

রান তাড়ায় প্রথম তিন ওভারের মধ্যে নেহাল ওয়াধেরা ও রোহিত শর্মাকে হারিয়ে বড় ধাক্কা খায় মুম্বাই। এর মাঝে পান্ডিয়ার বলে হাতে আঘাত পেয়ে ক্রিজে ছেড়ে যান গ্রিন। ফিল্ডিংয়ের সময় চোট পাওয়ায় ব‍্যাটিংয়েই নামতে পারেনি ইশান কিষান।

পাঁচ নম্বরে নেমে ঝড় তোলেন তিলক ভার্মা। মোহাম্মদ শামির এক ওভারে পাঁচটি চার ও একটি ছক্কায় তোলেন ২৪ রান। পাওয়ার প্লের পর আক্রমণে এসেই তিলকের ১৪ বলে ৪৩ রানের ইনিংস থামিয়ে দেন রশিদ খান।

গ্রিন পরে আবার ব্যাটিংয়ে নামলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি (২০ বলে ৩০)। মুম্বাইয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখেন সূর্যকুমার যাদব। ফিফটি তুলে নেন তিনি ৩৩ বলে।

পঞ্চদশ ওভারে আক্রমণে এসে একই ওভারে সূর্যকুমার ও বিষ্ণু বিনোদকে ফিরিয়ে মুম্বাইকে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকে দেন মোহিত। নিজের পরের ওভারে তিনি আবার ধরেন জোড়া শিকার। মাঝে রশিদ খান ফিরিয়ে দেন ডেভিডকে।

পরে কুমার কার্তিকেয়াকে ফিরিয়ে ম্যাচের ইতি টেনে দেন। সেই সঙ্গে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রথমবার পাঁচ উইকেটের স্বাদ পান মোহিত।

news24bd.tvতৌহিদ

এই রকম আরও টপিক