গাজীপুরে উত্তীর্ণ, ইসির সামনে আরও চার চ্যালেঞ্জ

সংগৃহীত ছবি

গাজীপুরে উত্তীর্ণ, ইসির সামনে আরও চার চ্যালেঞ্জ

অনলাইন ডেস্ক

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে বিজিত ও পরাজিত উভয় পক্ষ দাবি করেছে। নির্বাচনের আগে ভোট সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে নানান জল্পনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন (ইসি) সফল হয়েছে-এটা বলতে হবে। ১০০ তে ১০০ নম্বর পেয়ে পাস করেছে ইসি। তবে এখানেই শেষ নয়, আগামী ১২ জুন খুলনা ও বরিশাল এবং ২১ জুন রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশনে ভোট হবে।

সেই নির্বাচন কতটুকু সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারবে, সে চ্যালেঞ্জ রয়েছে ইসরি সামনে।   

গত বৃহস্পতিবার গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন। ১৬ হাজার ১৯৭ ভোটের ব্যবধানে তিনি জিতেছেন।  

ভোটের পরদিন অর্থাৎ গতকাল শুক্রবার জায়েদা খাতুন আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন নিরপেক্ষ হয়েছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

একই দিনে আজমত উল্লা খানও নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে উল্লেখ করে ফল মেনে নেওয়ার কথা বলেছেন।  

কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলোর মধ্যে এটি তৃতীয়। আর গাজীপুরে নিরপেক্ষ ভোট হয়েছে বলে মত দিয়েছেন নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট সবাই। বর্তমান কমিশনের অধীনে এর আগে কুমিল্লা ও রংপুর সিটিতে নির্বাচন সম্পন্ন হয়। গাজীপুরের পর এখন ইসির সামনে দেশের আরও চারটি সিটি করপোরেশনে নির্বাচন সুষ্ঠু করার চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। গাজীপুরের অভিজ্ঞতায় সেগুলোও সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী সংশ্লিষ্টরা। আগামী ১২ জুন খুলনা ও বরিশাল এবং ২১ জুন রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশনে ভোটের প্রস্তুতি চলছে ইসির।

গাজীপুর সিটি নির্বাচন প্রসঙ্গে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘এই ভোটে দৃশ্যমানভাবে কোনো অশান্তি ঘটেনি। কোনো অনিয়ম ও সহিংসতা হয়নি বলেও আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। তবে এর মানে এই নয় যে, নির্বাচনটি যেভাবে হয়েছে দেশের সব নির্বাচন সেভাবে হবে। ’

শুক্রবার রাজধানীতে এক সমাবেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গাজীপুরে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে। প্রমাণ হয়েছে বর্তমান সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব। '

অন্যদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘সরকার একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেখানোর চেষ্টা করেছে। সে চেষ্টার ফল আমরা দেখতে পেয়েছি। এটা হচ্ছে বাংলাদেশের আসল চিত্র। ’

news24bd.tv/আইএএম