কিয়েভ দিবসকে সামনে রেখে ইউক্রেনে হামলার গতি বাড়িয়েছে মস্কো। সোমবার মধ্যরাতে বেশ কয়েকটি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে কিয়েভ। এদিন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালানো হয়। হামলায় একজন নিহত ও অনেকে আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ইরানের তৈরি সাহেদ ড্রোন দিয়ে রাশিয়ার এই মুহুর্মুহু হামলার পর ইরানকে হুমকি দিয়েছেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মাইখাইলো পোদোলিয়াক। তিনি বলেন, যুদ্ধে রাশিয়ার প্রধান মিত্র হয়ে উঠেছে তেহরান।
তিনি আরও বলেন, আজ আমি তেহরান কর্তৃপক্ষকে জীবনের মৌলিক আইন মনে করিয়ে দিতে চাই বিশেষ করে বুমেরাংয়ের আইন। ভৌগলিক দূরত্বে বিভ্রান্ত হবেন না। একদিন সাহেদ ড্রোন তার প্রস্তুতকারকের দিকেই আঘাত হানবে। জেলেনস্কির উপদেষ্টা আরও বলেন, ইরানের ওপর ৫০ বছরের জন্য সরকারি নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব দেবেন জেলেনস্কি
প্রস্তাবিত নিষেধাজ্ঞায় ইরানিদের ওপর বাণিজ্য, আর্থিক এবং প্রযুক্তিগত বিধিনিষেধ আরোপ, ইউক্রেনের ভূখণ্ডের মধ্য দিয়ে ইরানি চালান ও ফ্লাইট নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করা হবে। একইসঙ্গে ইউক্রেনে ইরানি নাগরিকদের বিনিয়োগ ও অর্থ উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চায় কিয়েভ।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে মস্কোর সঙ্গে তেহরানের সম্পর্ক অনেক ঘনিষ্ঠ হয়েছে। তেহরানের কাছে ড্রোন ও ব্যালিস্টিক মিসাইল চায় মস্কো অন্যদিকে মস্কোর বিনিয়োগ ও বাণিজ্য চায় তেহরান। ইরানের কর্তৃপক্ষের বরাত দিতে সিএনএন জানিয়েছে, গত কয়েক বছরে ইরানে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ এসেছে রাশিয়া থেকেই।
ইউক্রেনে হামলা চালাতে কম খরচের ইরানি ড্রোন ব্যবহার করে আসছে মস্কো। তবে রাশিয়াকে এই ড্রোন সরবরাহের বিষয়টি বরাবরই অস্বীকার করে আসছে তেহরান। তাদের দাবি যুদ্ধ শুরুর আগে কিছু ড্রোন সরবরাহ করা হয়েছিল।
ইরানের তৈরি সাহেদ-১২৯ ও সাহেদ-১৯১ ড্রোন আরোহী বিহীন ড্রোন। এই ড্রোনগুলো তৈরির খরচ অনেক কম এবং নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম। ইউক্রেনে বিধ্বংসী আঘাত হানতে ড্রোনগুলোকে বিশেষভাবে মডিফাই করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিএনএন।
news24bd/ARH