চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাদক মামলার আসামি হ্যান্ডকাফসহ পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় সদর মডেল থানার ৬ পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
ক্লোজড হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার এসআই মাহবুব, এসআই জালাল উদ্দীন, এসআই নাসির উদ্দীন, এএসআই নয়ন কৃষ্ণ হোড়, এএসআই আব্দুল কাদের ও কনস্টেবল আনসার আলী।
এদিকে হ্যান্ডকাফসহ পালিয়ে যাওয়া মাদক ব্যবসায়ী মাসুদ রানাকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। স্থানীয়রা জানিয়েছে, মাসুদ রানা ভারত পালিয়ে গেছে।
এই ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) রোকনুজ্জামান সরকারকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আজ সোমবার সকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম সাহিদ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, গত ২৪ মে রাতে একটি মাদক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি সদর উপজেলার আলাতুলী ইউনিয়নের কোদালকাটি জেলেপাড়ারে নাজিবুরের ছেলে মাসুদ রানাকে বিজিবির সহায়তায় গ্রেপ্তার করে থানায় আনার পর ওই আসামির মোবাইল ফোনে হেরোইনের ছবি দেখা যায়। পরে তকে সঙ্গে নিয়ে দুর্গম চরাঞ্চল সদর উপজেলার আলাতুলী ইউনিয়নের কোদালকাটি এলাকায় অভিযানে যায় পুলিশের একটি বিশেষ দল।
অভিযানে গিয়ে গ্রেপ্তারকৃত মাসুদ রানার দেখানো স্থান থেকে ১ কেজি ৮২ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। অভিযানের সময় মাসুদের দুই হাতে একটি হ্যান্ডকাফ লাগানো ছিল। ফেরার পথে পুলিশ সদস্যদের ধাক্কা দিয়ে মাসুদ রানা হ্যান্ডকাফ নিয়েই দৌড়ে অন্ধকারের মধ্যে পালিয়ে যায়।
এরপর পুলিশ পিছু নিলেও তাকে ধরতে পারেনি। এ ঘটনার পর পুলিশ গত ৫ দিন ধরে অভিযান পরিচালনা করলেও পলাতক মাসুদ রানাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারণা মাসুদ রানা সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছে।
এই প্রসঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম সাহিদ বলেন, প্রাথমিকভাবে দায়িত্বে অবহেলার কারণে সদর থানার ৬ পুলিশ সদস্যকে থানা থেকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেয়া হয়নি বলেও জানান তিনি।
