এশিয়া কাপ দুবাইয়ে হলে অস্বস্তিতে থাকবে বাংলাদেশ: জালাল ইউনুস

সংগৃহীত ছবি

এশিয়া কাপ দুবাইয়ে হলে অস্বস্তিতে থাকবে বাংলাদেশ: জালাল ইউনুস

অনলাইন ডেস্ক

আইপিএল ফাইনালের দিন, অর্থাৎ গতকাল রোববার এশিয়া কাপের ব্যাপারে একটা সিদ্ধান্ত আসার কথা ছিল। কিন্তু বৃষ্টির কারণে ফাইনাল পিছিয়ে যাওয়ার দিন এশিয়া কাপ নিয়ে কাটেনি জটিলতা। বিশ্বকাপের আগে ওয়ানডে ফরম্যাটে হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্ট কোথায় হবে সেটা এখনো ঠিক করতে পারেনি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)।

বিশ্বকাপের আগে পাকিস্তানে বসার কথা ছিল এবারের এশিয়া কাপ।

তবে রাজনৈতিক কারণে পাকিস্তানে খেলতে নারাজ ভারত। তারা চায়, নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলতে। সেই মোতাবেক বিকল্প ভেন্যু হিসেবে আলোচনায় আছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই। তবে প্রচণ্ড গরমে দুবাই গিয়ে এশিয়া কাপ খেলতে আবার নারাজ বাংলাদেশ।
ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসও জানালেন, বাধ্য হয়ে দুবাই যেতে হলে অস্বস্তিতে থাকবেন তারা।

রোববার আহমেবাদাদে আইপিএলের ফাইনাল উপলক্ষে জড়ো হয়ে আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে সভা করার কথা ছিল বিসিসিআইর। তবে তাতে যোগ দিতে যাননি বিসিবির কোন প্রতিনিধি। শেষ পর্যন্ত মোড় কোনদিকে ঘুরছে সেটার ব্যাপারেও আপাতত অন্ধকারে তারা।

সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হাজির হয়ে জালাল জানান, বর্তমানে এসিসির সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে বিসিবি। তিনি বলেন, 'এশিয়া কাপের সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে জানতে পারব এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল থেকে। সেটার জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। ’

পাকিস্তানে খেলতে ভারতের নারাজি জানানোর পর পিসিবি (পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড) চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি হাইব্রিড মডেলে এশিয়া কাপ আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছিল। ভারতের ম্যাচগুলো অন্য ভেন্যুতে নিয়ে বাকি খেলা পাকিস্তানে আয়োজন করতে চায় তারা। এই ব্যাপারেও এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি বলে জানিয়েছেন জালাল ইউনুস।

তবে বাংলাদেশ হাইব্রিড মডেলে খেলতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস চেয়ারম্যান, ‘আমরা এশিয়া কাপ খেলতে আগ্রহী। এসিসি থেকে সিদ্ধান্ত আসবে হাইব্রিড নাকি হাইব্রিড না। যে মডেলেই হোক আমরা খেলতে আগ্রহী। ’

হাইব্রিড মডেলে রাজি হলেও দুবাইতে খেলতে ঘোর আপত্তি বিসিবির। নিজেদের আগের অবস্থান আবার ব্যাখ্যা করেছেন অপারেশন্স চেয়ারম্যান, ‘আমরা তো আগেও বলেছি এত গরমের ভেতর ৫০ ওভারের ম্যাচ খেলা খুব কঠিন। কারণ আমরা গতবার দেখেছি এই সময় আমরা টি২০ খেলেছি, এমনকি দেখা গেছে রাত ৯টার আগে আমরা অনুশীলন করতে পারতাম না, প্রচণ্ড গরমের জন্য। ’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘অস্বস্তি তো থাকবেই। আমরা যখন সম্পূর্ণ মনোযোগ দিচ্ছি ২০২৩ বিশ্বকাপে, অক্টোবরে। সেটার জন্য যতটা প্রস্তুতি দরকার, যতটা সতর্ক থাকা দরকার সেভাবে আমরা চিন্তা ভাবনা করছি। সেজন্যই চাচ্ছিলাম না ওখানে (দুবাই)। যদি অন্য কোনো দেশে হয় ভালো হয়। আমাদেরকে এসিসির সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করতে হবে। ’

news24bd.tv/SHS