ফাইনালে চেন্নাইকে বিশাল লক্ষ্য ছুঁড়ে দিলো গুজরাট

সংগৃহীত ছবি

ফাইনালে চেন্নাইকে বিশাল লক্ষ্য ছুঁড়ে দিলো গুজরাট

অনলাইন ডেস্ক

শিরোপা জেতার অর্ধেক কাজ ব্যাটিং ইনিংসেই যেন সেরে রাখলো গুজরাট টাইটান্স। আইপিএল ফাইনালে চেন্নাই সুপার কিংসকে ২১৫ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

আজ সোমবার আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে সাই সুদর্শনের ৯৬ এবং ঋদ্ধিমান সাহার ৫৪ রানের ওপর ভর করে ৩ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২১৪ রান তুলে ফেলে গুজরাট।

ফাইনালে শুরুতেই বিপদে পড়তে পারতো গুজরাট।

তবে ফর্মের তুঙ্গে থাকা শুভমন গিল জীবন পান ৩ রানের মাথায়। তার ক্যাচ ছাড়েন দীপক চাহার। এরপরেই আক্রমণে যায় গুজরাট। দলটি পাওয়ারপ্লেতে তুলে ফেলে ৬২ রান।

গিল আবারও হাঁটছিলেন বড় ইনিংসের পথেই। তবে সপ্তম ওভারের শেষ বলে রবীন্দ্র জাদেজার স্পিনে পরাস্ত হওয়ার পর মহেন্দ্র সিং ধোনির দুর্দান্ত স্টাম্পিংয়ে ৩৯ রানে থামে তার ইনিংস। গিল ফিরলেও থামেনি গুজরাটের রান তোলার গতি। সাই সুদর্শনকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা গতিশীল রাখেন সাহা।

বড় মঞ্চে এর আগেও নিজেকে প্রমাণ করা সাহা ফিফটি তুলে নেন ৩৪ বলে। ২০১৪ আইপিএলের ফাইনালে সেঞ্চুরি করা এই কিপার ব্যাটার অবশ্য এবারের ফিফটিকে বেশি বড় করতে পারেননি। ৫৪ রান করে চাহারের বলে ধোনির গ্লাভসবন্দী হয়ে ফেরেন। সাহা ফিরলে একাই দায়িত্ব নিয়ে খেলেন সুদর্শন। ছোটান চার-ছক্কার ফোয়ারা। তার আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের সামনে রক্ষা পাননি কোনো চেন্নাই বোলার। ফলস্বরূপ, ৩৩ বলে আসরের তৃতীয় ফিফটি তুলে নেন নিন।

অর্ধশতক পেরোনোর পর আরও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে থাকেন সুদর্শন। উইকেটের অপর প্রান্তে বসে যা শুধু দেখেই যাচ্ছিলেন গুজরাট অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। শেষ ওভারের প্রথম দুই বলে টানা দুই ছক্কা মেরে প্রথম আইপিএল সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। তবে তৃতীয় বলে এলবিডব্লু হন তিনি। ফলে ৯৬ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলে থামতে হয় তাকে।

শেষ তিন বলে আর মাত্র ২ রান খরচ করেন মাতিশা পাতিরানা। তাতে কী! ক্ষতি যা হওয়ার, ততক্ষণে তা হয়েই গেছে চেন্নাইয়ের।

news24bd.tv/SHS