কোটচাঁদপুর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গাছ পাচারের অভিযোগ

কোটচাঁদপুর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গাছ পাচারের অভিযোগ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শরিফুন্নেছা মিকির বিরুদ্ধে নিয়ম বহির্ভূতভাবে সরকারি গাছ পাচারের অভিযোগ উঠেছে। সরকারি ছুটির দিনে লোক চক্ষুর আড়ালে গাছ পাচার করার বিষয়টি জানাজানি হলে পরিষদ এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।  

বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার অবগত হলে, তার হস্তক্ষেপে তাৎক্ষণিক ভাবে পাচারকৃত গাছ পরিষদ চত্তরে ফেরত দেওয়া হয়।

জানা যায়, উপজেলা পরিষদ ভবন নির্মাণের জন্য পরিষদ চত্তরে আম, মেহগনিসহ কিছু গাছ কাটা হয়।

এছাড়াও নির্বাহী অফিসারের বাস ভবনের সামনে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভাঙ্গা আম ও মেহগনির গাছ পরিষদ চত্তরে পড়ে থাকে। শনিবার সরকারি কর্মদিবস না থাকায় লোক চক্ষুর আড়ালে কোন প্রকার নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে উপজেলা চেয়ারম্যান শরিফুন্নেছা মিকি অবৈধভাবে নিজস্ব লোকজন দিয়ে আলমসাধু গাড়িতে বহন করে সেই গাছ পাচার করেন।  

পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উছেন মে বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) নিরুপমা রায়কে গাছ ফিরিয়ে আনতে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পাচারকৃত গাছ পরিষদ চত্তরে ফেরত দেওয়া হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সহকারি কমিশনার (ভূমি) নিরপমা রায় জানান, কমিশনার স্যার আসায় আমি জেলাতে মিটিংয়ে ছিলাম। ইউএনও স্যার আমাকে বিষয়টি জানিয়ে গাছ ফেরত আনতে বলেন। তিনি বলেন, উপজেলা পরিষদ গাছ নিলাম কমিটি আছে। যার সদস্য সচিব উপজেলা প্রকৌশলী। উনাকে জানানো হয়েছে, স্থানীয় বন বিভাগের সাথে কথা বলে গাছের আনুমানিক মূল্য নির্ধারণ করে, সেভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে।  

নিয়ম বহির্ভূতভাবে গাছ পাচারের বিষয়ে তিনি বলেন, চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদের একজন সম্মানি ব্যাক্তি। তিনি কাউকে নির্দেশ দিয়েছিলেন গাছ সরানোর জন্য। পরবর্তীতে জানতে পেরে তিনি গাছ ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছেন।

কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, ছুটির দিনে আমরা ছিলাম না। উনি কি করেছেন বলতে পারছি না। তবে আমরা শোনার পর আবার সেগুলো ফেরত দিয়ে পরিষদ চত্বরে নিয়ে আসা হয়েছে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত উপজেলা চেয়ারম্যান শরিফুন্নেছা মিকি বলেন, ঝড়ে পড়া গাছ উপজেলায় রয়েছে। আমি বা আমার লোকজন নিয়ে যাচ্ছে এমন কথা সত্য না। এটা বাজে কথা।