ওয়ার্ল্ড হ্যরিটেজ সাইড সুন্দরবনে সব ধরনের মৎস্য আহরণে চলমান ১০৩ দিনের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে এবার রয়েল বেঙ্গল টাইগার, হরিণসহ ৩৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণী ও ২৯১ প্রজাতির মৎস্য সম্পদের প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে নতুন করে তিন মাসের জন্য দেশি-বিদেশি পর্যটকসহ সব ধরনের বনজীবীদের প্রবেশও বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। ১ জুন (বুধবার দিবাগত মধ্যরাত) থেকে ৩১ আগস্ট দিবাগত মধ্যরাত পর্যন্ত তিন মাস সুন্দরবনে পর্যটকসহ সব ধরনের বনজীবীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বন বিভাগ।
এর আগে সামুদ্রিক মৎস্য প্রজাতির প্রজননে মৎস্য বিভাগ ২০ মে মধ্যরাত থেকে ৫৬ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করে। মৎস্য বিভাগের পাশাপাশি ওইদিন থেকে সুন্দরবনে সব ধরনের মৎস্য আহরণে ১০৩ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেয় বন বিভাগ।
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোহাম্মদ বেলায়েত হোসের জানান, সুন্দনবনে বাংলাদেশ অংশের আয়তন প্রায় ৭ হাজার বর্গ কিলোমিটর। সুন্দবনে বর্তমানে ১১৪টি রয়েল বেঙ্গল টাইগার, দুই লাখ হরিণসহ ৩৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণী রয়েছে। এই ম্যানগ্রেভ বনের ৩টি এলাকাকে ১৯৯৭ সারের ৬ ডিসেম্বর ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হ্যরিটেজ সাইড।
সুন্দরবনে ১৮৭৪ বর্গ কিলোমিটার জলভাগে কুমির, ৬ প্রজাতির ডলফিনসহ ২৯১ প্রজাতির মাছ রয়েছে।
এবার সুন্দরবনে মাছের প্রজনন মৌসুমে ২০ মে মধ্যরাত থেকে মৎস্য আহরণে ১০৩ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। চলমান ১০৩ দিনের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে নতুন করে ১ জুন (বুধবার দিবাগত মধ্যরাত) থেকে ৩১ আগস্ট দিবাগত মধ্যরাত পর্যন্ত তিন মাস সুন্দরবনের সকল ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্রসহ সব ধরনের পর্যটক ও বনজীবীদের প্রবেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এসব নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে প্রতিপালনে কাজ করছে বন বিভাগ। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে সুন্দরবনের রাজা রয়েল বেঙ্গল টাইগার, হরিণসহ ও মাছের প্রজনন নির্বিঘ্নে হবে বলেও জানান এই বন কর্মকর্তা।
news24bd.tvতৌহিদ
