গাজীপুর থেকে সবার শিক্ষা নেওয়া উচিত: জাহাঙ্গীর

সংগৃহীত ছবি

গাজীপুর থেকে সবার শিক্ষা নেওয়া উচিত: জাহাঙ্গীর

অনলাইন ডেস্ক

সদ্য শেষ হওয়া গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন থেকে সবার শিক্ষা নেওয়া উচিত বলে মনে করেন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, আমার নেতাকর্মীদের নানাভাবে থ্রেট করা হয়েছে, ব্যবসায়িক ক্ষতির ভয় দেখানো হয়েছে। তবে মাস্তানি দিয়ে ভোট হয় না। এ জন্য গাজীপুর থেকে সবার শিক্ষা নেওয়া উচিত।

মঙ্গলবার (৩০ মে) একটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।  

এই সিটি নির্বাচন নিয়ে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ২৫ তারিখে যে ভোট হয়েছে তা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জের ছিল। আমার পরিবার, আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও মিথ্যাচার করা হয়েছিল। তবে নির্বাচনে একটি আদর্শিক জায়গা ছিল।

আমি বলেছি, আমি আওয়ামী লীগ ও নৌকাকে সাপোর্ট করি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে শ্রদ্ধার জায়গায় দেখি। এছাড়া সরকারও আমাদের। কিন্তু আমার প্রশ্ন ছিল একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ব্যক্তি, যার শহর করার জন্য যে যে মেধা প্রয়োজন, তা তার নেই, স্বচ্ছতা নেই। বক্তৃতা করা আর শহর করা এক জিনিস না। এ জন্য ব্যক্তির বিরুদ্ধে আমার মা দাঁড়িয়েছে।

সাবেক এই মেয়র বলেন, আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী তৈরি করেছি, সবার এই শহরে অবস্থান আছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে- মানুষ কর্মী তৈরি করে ভালোবাসা দিয়ে। এখানে দেখলাম বড় ভাই (আজমত উল্লা) সবাইকে ধরছে, আপনাকে ভোট করতে হবে। পেশিশক্তি বা মাস্তান টাইপের ব্যবহার করেছে। এছাড়া প্রত্যেকের বাড়িতে বাড়িতে প্রশাসনের লোক পাঠিয়েছে। এটা দুঃখজনক, যারা আওয়ামী লীগ করে তাদের বাড়িতে আপনি প্রশাসনের লোক কেন পাঠাবেন। এটা ভুল, ভোট হচ্ছে ভালোবাসার জায়গা। এখানে মালিক হচ্ছে ১২ লাখ ভোটার। কিন্তু ভালোবাসা না দেখিয়ে হাজার হাজার মানুষকে অ্যারেস্ট না দেখিয়ে আটক করেছেন। হাজার হাজার বাসাবাড়িতে গিয়ে প্রশাসন দিয়ে তছনছ করাইলেন। এটা ভালোবাসার কথা নয়। এটা কোনো আদর্শ হতে পারে না।

তিনি বলেন, আমি এবং আমার মা বিনয়ের সঙ্গে বলেছি, আমরা এই শহরের মানুষ, আমরা উন্নয়ন করতে চাই। আমার নেতাকর্মীদের নানাভাবে থ্রেট করা হয়েছে, ব্যবসায়িক ক্ষতির ভয় দেখানো হয়েছে। এটা একটা মাস্তানি, মাস্তানি দিয়ে ভোট হয় না। এজন্য গাজীপুর থেকে সবার শিক্ষা নেওয়া উচিত।

গুজব ছড়িয়ে ভোটের মাঠে তেমন লাভবান হওয়া যায় না উল্লেখ করে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এখানে আমার মা মেয়র হয়েছে, তার জন্য সবার সহযোগিতা চাই। বিশেষ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, যিনি আমাদের অভিভাবক, তার কাছে সহযোগিতা চেয়েছি। আমার আওয়ামী লীগ নিয়ে প্রশ্ন করে লাভ নেই, কারণ মা বলেছে- আমরা জন্মগত আওয়ামী লীগ। আমরা আওয়ামী লীগের সমর্থক, আমাদের কীভাবে বাদ করেন। আমার মা ভালো করে, না খারাপ করে সেই চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আমার বিশ্বাস আমার মা অন্যদের তুলনায় বেশি ভালো করবে।

সাবেক এই মেয়র বলেন, ইশতেহারে আমরা সব বলেছি, এগুলো বাস্তবায়ন করতে কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতা লাগবে। সাপোর্ট ডান-বাম হলে মানুষের কষ্ট হবে। আমি সবার সহযোগিতায় মাকে নিয়ে সুন্দর নগরী গড়তে চাই। নিজের ব্যর্থতার দায়ভার যেন কর্মী-সমর্থকদের ওপর দেওয়া না হয়। মিথ্যা দিয়ে কাউকে যেন ধ্বংস করা না হয়। সবাইকে নিয়ে শহর গড়ব। এখানে সবাই সম্মানের পাত্র।

news24bd.tv/আইএএম