বাড়ছে সিগারেটের দাম

সংগৃহীত ছবি

বাড়ছে সিগারেটের দাম

অনলাইন ডেস্ক

সিগারেটে কর বাড়িয়ে বাড়তি ছয় হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ঠিক করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সিগারেটের সবকটি মূল্যস্তর বাড়ানোর প্রস্তাব করে আজ সংসদে ২০২৩–২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করা হয়। পাশাপাশি একটি স্তরে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাবও করা হয়েছে। ফলে বাড়তে যাচ্ছে সিগারেটের দাম।

সিগারেটের দাম বাড়লেও, বিড়ির দাম না–ও বাড়তে পারে। কারণ বিড়িতে নতুন করে কর বাড়ানোর প্রস্তাব করেননি অর্থমন্ত্রী।

সিগারেটের মূল্যস্তর হচ্ছে চারটি। নিম্নস্তরে মূল্য ৪০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪৫ টাকা, মধ্যমস্তরে ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৬৭, উচ্চ স্তরে ১১১ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১১৩ এবং অতি উচ্চ স্তরে ১৪২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

সম্পূরক শুল্ক ১ শতাংশ বাড়বে শুধু নিম্ন স্তরে। এতে নিম্ন স্তরের সিগারেটের দাম বেশি বাড়তে পারে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা থেকে জাতীয় সংসদে ২০২৩–২৪ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব পেশ শুরু করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ২০২০–২১ অর্থবছরে বিড়ির দাম ২৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল। তাই এবারের বাজেটে না বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

এদিকে, দাম বাড়বে তরল নিকোটিনেরও। তরল নিকোটিন, ট্রান্সডার্মাল ইউজ নিকোটিন ইত্যাদি পণ্যের বিপরীতে ১৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। যে কারণে ইলেকট্রনিক সিগারেট ও সমজাতীয় ইলেকট্রিক ভ্যাপোরাইজার ডিভাইসের দাম বাড়তে পারে। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, এসব পণ্য এবং এর খুচরা যন্ত্রাংশের শুল্কহার সমান নয়। যন্ত্রাংশের শুল্কহার বাড়িয়ে মূল পণ্যের সমান, ২১২ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

ভ্যাপোরাইজার ডিভাইস সাধারণভাবে ভ্যাপ নামে পরিচিত। এই পণ্য অনেকে ব্যবহার করেন। তবে এটি ক্ষতিকর বলে উল্লেখ করেছেন অর্থমন্ত্রী।

তামাক ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে বিদায়ী অর্থবছরের (২০২২–২৩) বাজেটে এতে অতিরিক্ত করারোপ করা হয়। প্রতিবছরই বাজেটে তামাকের ব্যবহার কমানোর কথা বলা হয়ে থাকে। এ জন্য করারোপও প্রতিবছরই আগের তুলনায় বাড়তে থাকে। তাতে বাড়ে তামাক থেকে সরকারের রাজস্ব আয়।

২০১০-১১ অর্থবছরে তামাক ও তামাকজাত পণ্য থেকে সরকারের রাজস্ব আয় ছিল ৭ হাজার ৬৯১ কোটি টাকার বেশি। আর ২০২০-২১ অর্থবছরে এ আয় বেড়ে হয় ২৯ হাজার ৯৩৯ কোটি টাকার বেশি। ২০২১-২২ অর্থবছরে এ আয় ৩০ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা ছাড়ায়।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের হিসাবে দেখা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে প্রিমিয়াম, উচ্চ, মাঝারি ও নিম্ন স্তরের ৭ হাজার ১৫৯ কোটির বেশি সিগারেট শলাকা বিক্রি হয়েছে। পরের বছর তা বেড়ে হয়েছে ৭ হাজার ৫৬৪ কোটির বেশি। ২০২২-২৩ অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ৫ হাজার ১৯৫ কোটি সিগারেট শলাকা বিক্রি হয়েছে। যদি মাসভিত্তিক হিসাব বিবেচনায় নেওয়া হয়, তাতে দেখা যায়, এ বছরও সিগারেটের বিক্রি আগের বছরকে ছাড়িয়ে যাবে।

news24bd.tv/SHS