রাজধানীতে সড়ক নিরাপত্তাব্যবস্থা বাস্তবায়নে জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (জাইকা) সঙ্গে এক হয়ে কাজ করছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে ঢাকা মহানগর এলাকায় সর্বাত্মক সড়ক নিরাপত্তাব্যবস্থা বাস্তবায়নে ডিএমপির সক্ষমতা বাড়ানো। এরই মধ্যে প্রজেক্টের এক বছর হতে চলেছে। সফলতা মিললে পরে এর মেয়াদ বাড়ানো হবে।
শনিবার (৩ জুন) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। এসময়ে এই প্রজেক্টের ডেপুটি প্রজেক্ট লিডার ইরিয়ে, প্রজেক্ট গবেষক মিস সুজিমুরা, প্রজেক্টের অফিস সেক্রেটারি (কমিউনিকেশন অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস) সামমুন সুলতানা, কমিউনিকেটর সুজানা আকিকো হুসাইন এবং ডিএমপির মিডিয়া শাখার অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (এডিসি) কে এন রায় নিয়তি উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ডেপুটি প্রজেক্ট লিডার ইরিয়ে বলেন, আমাদের মধ্যে একটা ধারনা রয়েছে রাস্তা খালি আছে সিগন্যাল মানবো না।
জাইকার এই কর্মকর্তা জানান, ঢাকা শহরে কেন সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে, এ ব্যাপারে সরকার কী পদক্ষেপ নিচ্ছে, ডিএমপি কীভাবে কাজ করছে সেসব বিষয়ে জাইকা কাজ করছে। এর ইমধ্যে রাজারবাগ স্কুলে শিক্ষার্থীদের সচেতনতা মূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড চালানো হয়েছে।
প্রজেক্টের অফিস সেক্রেটারি সামমুন সুলতানা বলেন, জাপানে একসময় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এত ভালো ছিল না। এখন তারা ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় বিশ্বের অনন্য উদাহরণ। তারাও সড়ক সম্পৃক্ত সচেতনা ও জ্ঞান স্কুল থেকে শুরু করেছিল। আর এখন ফলাফল পাচ্ছে।
জাইকার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজধানীর বিভিন্ন যানবাহনের চালকদের সফটওয়্যার প্রজেক্ট নিয়ে তারা কাজ করছেন। পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে বর্তমানে চালকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রথমে ডিএমপির একটি শাখাকে ধরে এই কাজ চলছে। সবাইকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হলে এই সফটওয়ার চালু করা হবে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করার পাশাপাশি সড়কের কোন কোন জায়গাতে দুর্ঘটনা বেশি হচ্ছে; এর জন্য কী কী করতে হবে সেসবের কারণ অনুসন্ধান করা হবে। এই সফটওয়ারে চালুর পর তাৎক্ষণিক ট্রাফিক পুলিশ তথ্য পাঠাতে পারবে, যা ডাটাবেজে থাকবে। এছাড়াও ট্রাফিক আইন-কানুন মেনে চলার জন্য একটি শিশু পার্ক হবে। যেটা দেশে এখনও নেই। এখানে ট্রাফিক সম্পর্কে বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া থাকবে। এটা আরেকটা ছোট একটা প্রজেক্ট। প্রথমে একটা-দুইটা তৈরি হলে পরে আরও করা সম্ভব হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জাইকার অর্থায়নে এই প্রজেক্টে ডিএমপি ছাড়াও বিআরটিএ, বিআরটিসি, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ), বুয়েটের অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট নানাভাবে যুক্ত আছে। তবে কত টাকা জাইকার এ প্রজেক্টে অর্থায়ন করছে তা স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।
news24bd.tv/aa