বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায় জাপান। এ ব্যাপারে দেশটি তার সদিচ্ছা ব্যক্ত করে যাচ্ছে। রবিবার (৪ জুন) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে জাপানের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এমন মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘সারা বিশ্বের গণতন্ত্রকামী দেশগুলো বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছে।
সকাল ১০টায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে মির্জা ফখরুলের সঙ্গে জাপানি রাষ্ট্রদূতের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের কাছে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জাপানের নতুন রাষ্ট্রদূত কিছুদিন আগে বাংলাদেশে এসেছেন। উনি আমাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছেন।
তিনি বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশ-জাপানের বন্ধুত্ব, পার্টনারশিপ অনেক পুরোনো। আমাদের পার্টনারশিপের মধ্যে তারা সবার ওপরে। জাপানের অনেক বিনিয়োগ বাংলাদেশে আছে। তাদের ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ করছেন, সরকারের অবকাঠামোর প্রজেক্টগুলোতে জাপান বিনিয়োগ করছে। সুতরাং আমাদের সম্পর্ক অনেক দীর্ঘ। জাপান বাংলাদেশের মানুষের কাছে খুব গ্রহণযোগ্য। সেজন্য আমাদের সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ’
বিএনপি আমলে জাপানের ব্যাপক বিনিয়োগের কথাও তুলে ধরেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ক্ষমতায় ছিলাম প্রচুর বিনিয়োগ জাপান থেকে এসেছে। প্রচুর অবকাঠামোগত বিনিয়োগ সে সময় হয়েছে। আমাদের সময় মুক্তবাজার অর্থনীতি যেটা শুরু করেছিলাম তারপর থেকে জাপানের সঙ্গে সস্পর্ক বাংলাদেশের অনেক বেশি বেড়ে গেছে। ’
এক প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, তারা দেখতে চায় সরকার বদল হলেও সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশের সার্বিক নির্বাচনী ব্যবস্থা, বর্তমান মানবাধিকার যেগুলো নিয়ে আজকে সবার কনসার্ন, স্বাভাবিকভাবে তাদেরও কনসার্ন থাকার কথা। তারা জানতে চাচ্ছে, বাংলাদেশে কী হচ্ছে, আগামী দিনে কী হতে যাচ্ছে! আগামী দিনে বাংলাদেশ কোথায় যাচ্ছে? এটা তারা বোঝার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, বেসরকারি খাতে অনেক বড় বিনিয়োগ আছে তাদের। সরকারের অবকাঠামোতে আছে। এগুলো স্বাভাবিকভাবে আমাদের আলোচনায় এসেছে।
আপনরা কী বলেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে যা হচ্ছে তা-ই আমরা তুলে ধরেছি। ’ সেগুলো বলা যাবে কি না- এমন প্রশ্নে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।
news24bd.tv/aa