লাল কাপড় দেখেও থামল না ট্রেন, প্রাণে বাঁচল শত শত মানুষ

লাল কাপড় দেখেও থামল না ট্রেন, প্রাণে বাঁচল শত শত মানুষ

ঢাকাগামী চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপেজ চেয়ে নাটোরের লালপুর উপজেলার আজিমনগর স্টেশনে রেললাইন অবরোধ করে পরপর দুইটি ট্রেন থামিয়ে দেয় স্থানীয়রা। পরে আরও একটি ট্রেন থামাতে লাইনে দাঁড়িয়ে লাল কাপড় তুলে ধরে ট্রেন থামানোর সংকেত দেয় আন্দোলনরত শতশত মানুষ। সবকিছু ছাপিয়ে দ্রুতগতিতে ট্রেন অবরোধরত মানুষের  মধ্যে চলে আসলে আন্দোলনরতরা দ্রুত সরে যান। এতে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য প্রাণে বেঁচে যান কয়েকশ মানুষ।

সোমবার (৪ জুন) বেলা ১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে আন্দোলনকারীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে রেলস্টেশন ভাঙচুর করেন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আন্দোলনকারী নাদিম আলম জানান, আজিমনগর একটি অবহেলিত স্টেশন।

ঢাকাগামী সদ্য উদ্বোধন হওয়া চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেন আজিমনগর স্টেশনে স্টপেজ দেওয়ার দাবিতে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন চলছিল।

পরে রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ও নাটোরগামী রূপশা এক্সপ্রেস ট্রেন থামিয়ে ৫ মিনিট রেললাইন অবরোধ করে রাখে জনতা। পরে ট্রেনে থাকা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন। পরে ট্রেনগুলো নিরাপদে স্টেশন ছেড়ে যায়।

তিনি আরও জানান, বেলা ১ টার দিকে রাজশাহীগামী টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস ট্রেন থামাতে লাল কাপড় তুলে ধরে সংকেত দেয় সাধারণ মানুষ। কিন্তুু তারা ট্রেন না থামিয়ে দ্রুতগতিতে চলে আসে, পরে শতশত মানুষ দ্রুত রেল লাইন থেকে সরে যায়। এখানে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারতো। কতৃপক্ষের এমন অপেশাদারিত্ব আচারণে আমরা নিন্দা জানাই। কর্মসূচিতে নাটোর জেলা ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল, জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক বাবুল আকতার, সিবিএ সভাপতি খন্দকার শহিদুল ইসলামসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে।

এবিষয়ে ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিহির রঞ্জন দেব বলেন, রেললাইন থেকে সবাইকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

news24bd.tvতৌহিদ