সরকার নির্ধারিত মূল্যে পঞ্চগড়ের চা কারখানা মালিকরা কাঁচা পাতা কিনছে না। দাম যা দিচ্ছে তার ওপর আবার কর্তন করা হচ্ছে ইচ্ছেমতো। এতে চা চাষিদের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। ইতিমধ্যে জেলার নানা স্থানে চাষিরা তাদের বাগান উপরে ফেলেছেন।
সরকার যদি এ বিষয়টির দিকে দ্রুত দৃষ্টি না দেয়, তবে ভবিষ্যতে পঞ্চগড়ে চা চাষ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই চা চাষিদের বাঁচাতে প্রতি কেজি চা পাতার মূল্য সর্বনিম্ন ৪০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।রোববার (৪ জুন) দুপুরে জাতীয় চা দিবসে কাঁচা চা পাতার মুল্য বৃদ্ধির দাবিতে পঞ্চগড়ে মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন। পঞ্চগড় জেলার চা চাষি ও বাগান মালিক সমিতির ব্যানারে পঞ্চগড়ের শহীদ মিনারের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে চা চাষি ও বাগান মালিকরা বলেন, র্বতমানে কাঁচা চা পাতা মাত্রা ১৫ টাকা কেজি দরে কিনছে পঞ্চগড়ের কারখানা মালিকরা। এরপরও ৪০-৫০ ভাগ কর্তন করা হচ্ছে। ফলে প্রতি কেজি কাঁচা চাপাতার দাম মিলছে মাত্র ৮ থেকে ১০ টাকা। এতে আমরা চা চাষিরা ব্যাপক লোকশান গুণছি; কেননা এতে উৎপাদন খরচও উঠছে না। এ অবস্থা চলতে থাকলে পঞ্চগড়ে চা চাষ বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। তাই অনতিবিলম্বে সকল সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিয়ে প্রতি কেজি উৎপাদিত কাঁচা চা পাতার দাম সর্বনিম্ন ৪০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে। এ ব্যাপারে খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি কামনা করছি।
বক্তারা তাদের ৯ দফা দাবি তুলে ধরে বলেন, আগামী ১১ জুনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আমরা আলোচনায় বসতে চাই। আমরা তাদের কথা শুনতে চাই এবং আমাদের বাস্তবতা তুলে ধরতে চাই। নচেৎ ১২ তারিখের পর বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে পঞ্চগড়ের চা চাষিরা।
পঞ্চগড় চা বাগান মালিক সমিতির সভাপতি দিদারুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, চা চাষি অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি আবু সাঈদ, চা বাগান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মানিক উদ্দিন, ক্ষুদ্র চা চাষি শামসুন্নাহার খুকি, নতুন, শাহীনুর রহমান, সাংবাদিক শাহজালাল প্রমুখ।