সেফুদার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

সংগৃহীত ছবি

সেফুদার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

অনলাইন ডেস্ক

বিদেশে বসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধানসহ বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফেসবুক লাইভে অশালীন মন্তব্য করার জন্য আলোচিত সেফায়েত উল্লাহ মজুমদার ওরফে সেফুদার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ জুন) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলার বাদী আলীম আল রাজী জীবন সাক্ষ্য দেন। এর মধ্য দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হলো।

এরপর বিচারক এএম জুলফিকার হায়াত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।

মামলায় সেফুদাকে পলাতক দেখানো হয়েছে।

২০১৯ সালের ২৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য আলীম আল রাজী জীবন। ট্রাইব্যুনাল পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। এরপর মামলার অভিযোগ তদন্ত শেষে একই বছরের ১০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের উপপরিদর্শক পার্থ প্রতিম ব্রহ্মচারী সেফুদার বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

ট্রাইব্যুনাল তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে ২০১৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সেফুদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। ২০২২ সালের ১৯ জানুয়ারি তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি সেফায়েত উল্লাহ অনলাইনে একাধিকবার বিভিন্নভাবে ভিডিও আপলোড করেছেন, সেগুলো ভাইরাল হয়েছে। তিনি এসব ভিডিওর মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অনেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ, অশ্লীল ও আক্রমণাত্মক ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। এতে আক্রমণাত্মক, মিথ্যা বা ভীতি প্রদর্শক তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ, মানহানিকর তথ্য প্রকাশ এবং একাধিক গোষ্ঠীর মধ্যে মতবিরোধ সৃষ্টি করেছেন। ফলে দেশের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে, যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অপরাধ।

news24bd.tv/আইএএম