এফটিপির বাইরেও ইংল্যান্ডে টেস্ট খেলতে পারে বাংলাদেশ

সংগৃহীত ছবি

এফটিপির বাইরেও ইংল্যান্ডে টেস্ট খেলতে পারে বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক

ইংল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশ সবশেষ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলেছে ২০১০ সালে। নতুন প্রকাশিত ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ সফরসূচি (এফটিপি) অনুযায়ী ২০২৭ সালের আগে ইংল্যান্ডের মাটিতে কোনো সিরিজও নেই টাইগারদের। তবে আশা কথা শুনিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফ। গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) বাংলাদেশকে টেস্ট খেলতে ডাকবে।

জানা গেছে, ২০২৪ ও ২০২৫ সালের যেকোনো সময় এফটিপির বাইরের এই টেস্ট অনুষ্ঠিত হতে পারে।

টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, ইসিবি এ মুহূর্তে টেস্ট ক্রিকেটকে আরও জনপ্রিয় ও প্রাসঙ্গিক সংস্করণ হিসেবে টিকিয়ে রাখার ব্যাপারে মনোযোগী হচ্ছে। সে কারণে বাংলাদেশ এবং জিম্বাবুয়েকে টেস্ট খেলতে ডাকতে চায় ইসিবি। শক্তিশালী ব্রিটিশ-বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের কারণে ইংল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশের খেলাকেও ইসিবি লাভজনক মনে করছে বলে জানিয়েছে টেলিগ্রাফ।

২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি এবং ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে মাঠে বাংলাদেশি দর্শক-সমর্থকদের আনাগোনা মুগ্ধ করেছে ইসিবিকে। গত মাসে চেমসফোর্ডে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেও প্রচুর বাংলাদেশি দর্শক এসেছিলেন মাঠে। ইসিবির মতে, এক ম্যাচের টেস্ট সিরিজ হলেও সেটি ব্রিটিশ-বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের মধ্যে আগ্রহ তৈরি করতে পারবে।

ইসিবির প্রধান নির্বাহী রিচার্ড গোল্ডের সম্প্রতি একটি পডকাস্টের করা মন্তব্য এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করেছে টেলিগ্রাফ। গোল্ড সেই পডকাস্টে বলেছেন, ‘ইসিবি এই মুহূর্তে টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে ভাবছে। তারা এমন উপায় খুঁজছে, যাতে অন্যরা শুধু টেস্ট ক্রিকেট খেলতেই উৎসাহী না হয়, ক্রিকেটারদের যেন তারা ভালো পারিশ্রমিক দেন। এর ফলে ক্রিকেটাররা টেস্ট ক্রিকেট খেলতে আরও বেশি আগ্রহী হয়ে উঠবেন। ’

২০২৪ ও ২০২৫ সালে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড পাঁচটি করে টেস্ট খেলবে। ইসিবি মনে করে এই দুই বছর খুব সহজেই আরও একটি করে টেস্ট ম্যাচ আয়োজনের সুযোগ আছে। এই বাড়তি একটি করে টেস্ট ইংল্যান্ড খেলতে চায় বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।

লর্ডসে প্রতি গ্রীষ্মে দুটি করে টেস্ট ম্যাচ আয়োজনের জন্য ইসিবি ও এমসিসির (লর্ডস এমসিসির মাঠ) চুক্তি আছে। ২০০০ সাল থেকে প্রতি গ্রীষ্মেই দুটি করে টেস্ট অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। তবে ২০২০ সালে করোনা মহামারির সময় একটি টেস্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে সেখানে। সম্প্রতি আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের টেস্ট দেখতে লর্ডসে প্রচুর দর্শক এসেছেন। এ ব্যাপারটি ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ড ও এমসিসি দুই পক্ষকেই নতুন চিন্তা উপহার দিয়েছে। তারা মনে করছে, লর্ডসে টেস্ট ম্যাচের একটা বাড়তি আকর্ষণ আছে। অস্ট্রেলিয়া, ভারত, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তানের মতো দেশ না খেললেও লর্ডস টেস্ট আকর্ষণ তৈরি করতে পারে।

এমসিসির প্রধান নির্বাহী গাই ল্যাভেন্ডার টেলিগ্রাফকে বলেছেন, ‘আমরা ২০২৪ সালে লর্ডসে দুটি টেস্ট ম্যাচ আয়োজন করতে চাচ্ছি খুব করেই। আমরা মনে করি, লর্ডসে প্রতি গ্রীষ্মেই দুটি করে টেস্ট আয়োজনের সুবিধা আছে। লর্ডসের মতো মাঠকে টেস্ট ক্রিকেটের জন্য বেশি করে ব্যবহারের উদ্দেশ্যের পাশাপাশি আর্থিক ব্যাপারটিও এখানে জড়িত। ’

news24bd.tv/SHS