কানাডার চলমান দাবানলে সৃষ্ট ধোঁয়া গোটা উত্তর আমেরিকার লাখ লাখ মানুষকে উচ্চ-ঝুঁকিতে ফেলে দেয়েছে। এরই মধ্যে কয়েকটি প্রদেশে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তীব্র বাতাসে ধোঁয়া প্রতিবেশী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। এসময় নিউইয়র্কের ‘স্ট্যাচু অব লিবার্টি’ দূর থেকে ধূসর দেখায়।
দাবানলের তীব্র ধোঁয়ায় কানাডার টরন্টো এবং এর আশপাশের এলাকাসহ অন্টারিও এবং কুইবেকের প্রধান শহরগুলো ঢেকে গেছে। এ ছাড়া ধোঁয়া যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটি এবং কানেকটিকাট পর্যন্ত পৌঁছেছে। বেশির ভাগ ধোঁয়াই কুইবেক থেকে আসছে, যেখানে ১৬০টি এলাকায় আগুন জ্বলছে।
কানাডার রাজধানীতে বাতাসের মান মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ‘উচ্চ মাত্রার ঝুঁকি’ বলে মনে করা হচ্ছে। টরন্টো এবং এর আশপাশের এলাকার অবস্থাও একই।
এদিকে ইতিমধ্যেই ‘ইউএস এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন এজেন্সি (ইপিএ)’ উত্তর-পূর্ব যুক্তরাষ্ট্রের বেশির ভাগ বায়ুর মানকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে জানিয়েছে। বিশেষ করে যারা ইতিমধ্যেই শ্বাসকষ্টে ভুগছেন তাদের জন্য।
পূর্ব পেনসিলভানিয়া, নিউ ইয়র্ক এবং নিউ ইংল্যান্ডের অংশগুলোতে বায়ুর গুণগত মান সূচক সর্বোচ্চ ২০০ দেখাচ্ছে। এর অর্থ এমন পরিস্থিতি সবার জন্য খুবই অস্বাস্থ্যকর।
নিউইয়র্কে মঙ্গলবার সকালে তোলা একটি ছবিতে দেখা গেছে, কানাডা থেকে দাবানলের ধোঁয়া দক্ষিণে যাচ্ছে, ফলে কমলা রঙের ধোঁয়া শহরটির আকাশ ঢেকে রেখেছে। জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তারা সবাইকে বাইরে ব্যায়াম না করার জন্য এবং যতটা সম্ভব ধোঁয়ার সংস্পর্শে না আসার জন্য সতর্ক করেছেন। কানাডায় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সক্রিয় দাবানলের ঘটনা ঘটছে।
ফেডারেল কর্মকর্তারা সোমবার সতর্ক করে দিয়েছিলেন, এই গ্রীষ্মে এটি কানাডার সবচেয়ে বড় দাবানল হতে পারে। সারা দেশে আগুনে ইতিমধ্যেই ৩.৩ মিলিয়ন হেক্টরেরও বেশি জমি পুড়ে গেছে। যা বছরের এই সময়ের জন্য ১০ বছরের গড়ের ১২ গুণ। কানাডার কুইবেকসহ সারা দেশে হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। যেখানে আগুনে এখন পর্যন্ত প্রায় দুই লাখ হেক্টর জমি পুড়ে গেছে। ব্রিটিশ কলম্বিয়া, আলবার্টা, অন্টারিও, নোভা স্কটিয়া এবং উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলগুলোতেও বিস্তৃত এলাকা জুড়ে আগুন জ্বলছে।
news24bd.tv/আলী