সিলেটে ট্রাক ও পিকআপের সংঘর্ষে নিহত ১৪ নির্মাণ শ্রমিকের মরদেহ তাদের বাড়িতে বিনামূল্যে পৌঁছে দিয়েছেন অ্যাম্বুলেন্স চালকরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিহতদের পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তরের পর স্থানীয় ওসমানী হাসপাতাল অ্যাম্বুলেন্স-মাইক্রোবাস উপকমিটির চালকরা ভাড়া ছাড়াই মরদেহ তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেন। রাতে নিহত প্রত্যেকের মরদেহ নিজ নিজ গ্রামে দাফন করা হয়েছে বলে তাদের স্বজনরা জানিয়েছেন। এ ঘটনায় পরে হাসপাতালে একজন মারা যান।
সিলেট ওসমানী মেডিকেলের অ্যাম্বুলেন্স-মাইক্রোবাস উপকমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরান আহমদ গণমাধ্যমকে জানান, ১৪টি অ্যাম্বুলেন্স তাদের উপকমিটির পক্ষ থেকে মরদেহ পৌঁছানোর জন্য দেওয়া হয়। নিহতরা সবাই নিম্ন আয়ের মানুষ হওয়ায় মানবিক কারণে এই কাজ করা হয়েছে।
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের হলদিউড়া গ্রামের নিহত আনোয়ারা বেগমের মেয়ের স্বামী রুহল আমিন জানান, তার শাশুড়ির মরদেহ রাতে দাফন করা হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স চালকরা কোনো ভাড়া নেননি।
বুধবার ভোররাতে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নাজিরবাজার কুতুবপুর নামক স্থানে বিপরীত থেকে আসা একটি মাল বোঝাই ট্রাক কেড়ে নেয় ১৪ নির্মাণ শ্রমিকের প্রাণ।
news24bd.tv/আইএএম