ইউক্রেনের বাঁধ ধ্বংস: ভেসে আসা মাইন নিয়ে উদ্বেগ

সংগৃহীত ছবি

ইউক্রেনের বাঁধ ধ্বংস: ভেসে আসা মাইন নিয়ে উদ্বেগ

অনলাইন ডেস্ক

ইউক্রেইনের দক্ষিণাঞ্চলে কাখোভকা বাঁধ ভেঙে যাওয়ার পর ভেসে যাওয়া স্থলমাইনগুলো নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতি নিয়ে রেডক্রস সতর্ক করে বলেছে, মাইনগুলোর অবস্থান শনাক্ত করার ক্ষেত্রে বিপর্যয়কর প্রভাব পড়তে পারে। খবর বিবিসির।  

বাঁধ ভেঙে যওয়ায় দানিপ্রো নদীতে পানি বাড়তে থাকায় খেরসন অঞ্চলের বিভিন্ন অংশ থেকে কয়েক হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এই নদীটিই ওই অঞ্চলে রাশিয়া ও ইউক্রেইনের নিয়ন্ত্রিত অংশকে বিভক্ত করেছে। এই কাখোভকা বাঁধে নাশকতা চালানো জন্য রাশিয়া ও ইউক্রেইন পরস্পরকে দায়ী করেছে।  

এরই মধ্যে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকা ওলেশকিতে বন্যার কারণে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ওলেশকির নির্বাসিত কিইভপন্থি মেয়র ইয়েভেন রিশ্চুক গণমাধ্যম সাসপিলনাকে বলেছেন, তার ধারণা মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেশি হবে।

তবে এ দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি বিবিসি।

রেড ক্রসের অস্ত্র দূষণ ইউনিটের প্রধান এরিক টলেফসেন সতর্ক করে বলেছেন, স্থানচ্যুত মাইনগুলো শুধু খেরসনের বাসিন্দাদের জন্যই না, যারা তাদের সাহায্য করার জন্য আসবে তাদের জন্যও গুরুতর উদ্বেগ তৈরি করেছে।  

ইউক্রেইনের সামরিক বাহিনীর দক্ষিণ কমান্ডের মুখপাত্র নাতালিয়া হুমেনিউক ইউক্রেইনীয় টেলিভিশনকে বলেছেন, ‘(রাশিয়ার নিয়ন্ত্রিত এলাকায়) বহু স্থলমাইন স্থানচ্যুত হয়েছে, এগুলো ভাসমান মাইনে পরিণিত হয়েছে। এগুলো বড় ধরনের বিপদ। ’ নিজের কথা ব্যাখ্যা করে তিনি জানান, এসব মাইন পানিতে ভাসমান আবর্জনা বা অন্য কিছুর সঙ্গে ধাক্কা লেগে বিস্ফোরিত হতে পারে।

প্রসঙ্গত, রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত খেরসন অঞ্চলের দানিপ্রো নদীর ওপর নির্মীত এই বাঁধ ধ্বংসের জন্য একে অপরকে দোষারোপ করে আসছে মস্কো ও কিয়েভ। মস্কোর দাবি, বাঁধের জলাধার থেকে ক্রিমিয়ায় পানি সরবরাহ বন্ধ করতে এই হামলা চালিয়েছে কিয়েভ। অন্যদিকে কিয়েভের দাবি পাল্টা হামলার গতি থামাতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে রাশিয়া।

news24bd/ARH